Doluakhaki

ছয় দিন পার হয়ে গেলেও অধরা দলুয়াখাকির দোষীরা

রাজ্য

সোমবার খুন হয়েছেন সইফুদ্দিন লস্কর। সেইদিনই পিটিয়ে মারা হব এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন লস্করকে। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় দলুয়াখাকি গ্রাম। ছয় দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন খুন এবং দলুয়াখাকিতে আগুন লাগানোয় কারা অভিযুক্ত তা খুঁজে বার করতে পারলো না পুলিশ।

সইফুদ্দিন খুনে ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন সিপিআই(এম) কর্মী আনিসুর লস্কর। অথচ বাকি দুটো ঘটনার তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই। এই পরিস্থিতিতে সাহাবুদ্দিনের পরিবার জানিয়েছেন তাদের সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন যোগাযোগ করা হয়। মামলাও দায়ের করা হয়নি। সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী দাবি করেছেন তদন্ত সঠিক ভাবে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে পিটিয়ে মারা হলো। কিন্তু কেউ এখনও গ্রেপ্তার হলো না। পুলিশের ওপর আমাদের ভরসা নেই।’’

উল্লেখ্য সাহাবুদ্দিনকে ঘিরে ধরে মারার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কে বা কারা ওই কাজ করেছে তা সেই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সব তথ্য প্রমান থাকা সত্ত্বেও পুলিশের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সইফুদ্দিন মারা যাওয়ার পর সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন যে তার স্বামী তৃণমূল কর্মী। 

অন্যদিকে দলুয়াখাকি গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আনিসুরের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সেদিন সকালে বাড়ি ছিলেন আনিসুর। কিন্তু হঠাৎ করে গ্রামে পুলিশ এসে তার খোঁজ করলে সে আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ে। দলুয়াখাকি গ্রামে সোমবার সকালে তৃণমূলের দুষ্কৃতি বাহিনী যখন একের পর এক সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছিল। সেই সময় গ্রামের সব পুরুষ প্রানে বাঁচতে এবং পুলিশি অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গ্রাম ছাড়েন তারা। এখনও পর্যন্ত গোটা দলুয়াখাকি পুরুষ শূন্য। খোলা আকাশের নীচে মুড়ি, বাতাসা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের মহিলা এবং শিশুরা। 

 সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘গোটা বিষয়টি সাজানো। অভিজুক্তদের বাড়ির লোক বলছে তারা তৃণমূল। আর আনিসুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে সেদিন সকালে বাড়ি ছিল। যার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো সে গ্রেপ্তার।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা দাবি করছি, কারা বাইক নিয়ে এলো? কোথায় গেলো তারা? কারা গ্রামে আগুন ধরালো? তাদের খুঁজে বার করুক পুলিশ।’’ 

 

Comments :0

Login to leave a comment