এবার লটারি কান্ডে সিবিআই'র জেরার মুখোমুখি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার সিবিআই'র একটি দল আসানসোল জেলে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে লটারি কান্ডে জিঞ্জাসাবাদ করার জন্য। একাধিক লটারি এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, অনুব্রত মণ্ডল কোনও লটারির টিকিট কেনেননি। পুরস্কারও পাননি। গরু পাচারের টাকা সাদা করার জন্য লটারিকে অনুব্রত শিখন্ডি করে দাঁড় করিয়ে ছিলেন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
চলতি বছর গোড়ার দিকে এক কোটি টাকার ডিয়ার লটারি জেতেন অনুব্রত। তার ছবি সহ সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশিতও করা হয়। গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে এই লটারির বিষয়টি নজরে পড়ে সিবিআই আধিকারিকদের। বোলপুরের বহু লটারি এজেন্টকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার পক্ষ থেকে। সেখ আইনুল নামে এক লটারি এজেন্ট হাজিরা দেন সিবিআই এর কাছে। তিনি লটারি সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি জমা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বলেন, ‘‘যে লটারির কথা বলা হচ্ছে তার সব নথি নিয়ে এসেছি। আমিই মূল এজেন্ট। আমি টিকিটটি বিক্রি করেছিলাম লাকি লটারি নামে এক সাব এজেন্সিকে। সে কাকে বিক্রি করেছিল, কেই বা লটারির টাকা ভাঙিয়েছিল তা বলতে পারব না।’’ ডাক পড়ে সেই সাব এজেন্টেদেরও। তাঁরাও জানান, ‘‘অনুব্রত টিকিট কাটেননি। লটারি প্রাপ্তির টাকা আমার কাছে ভাঙাতেও আসেনি কেউ।’’ লাকি লটারি টিকিট বিক্রি করেছিল জনৈক মুন্না সেখকে। তিনিও জানিয়েছেন যে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি কোনও লটারির টিকিট বিক্রি করেননি।
স্বাভাবিক প্রশ্ন, অনুব্রত লটারির টিকিট কাটেননি বলে দাবি করছেন দুই এজেন্টই। আবার লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে লটারি প্রাপ্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনুব্রতর ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তা'হলে ‘খেলা’ই কি হয়েছে কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যে? সেই রহস্যভেদেই তৎপর হয়েছে সিবিআই। তাই একদিন আগেই বোলপুরের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা ‘গাঙ্গুলি লটারি’র মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
Comments :0