Himachal Congress

হিমাচলে বিজেপি’র ১৫ বিধায়ককে বহিষ্কার অধ্যক্ষের

জাতীয়

বিজেপি’র দল ভাঙানোর রাজনীতিতে সঙ্কটে পড়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার। রাজ্যসভার ভোটে কংগ্রেসের ৬ বিধায়ককে ভাঙিয়েছে বিজেপি। বুধবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের দাবিও তুলেছে। বিধানসভায় স্লোগান এবং অবাঞ্ছিত আচরণের দায়ে অধ্যক্ষ আবার বহিষ্কার করেছেন বিজেপি’র ১৫ বিধায়ককে।

বুধবারই বাজেট অধিবেশন শুরু হিমাচলে। অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়করা অধ্যক্ষ কুলদীপ সিং পাঠানিয়ার কক্ষে। তাঁকে ঘিরে শুরু হয় স্লোগান। এরপর বিধানসভার সচিবালয় থেকে বিজেপি’র ১৫ বিধায়ককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।  

বুধবারই মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেনন হিমাচলের কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং। এদিন সকালে ইস্তফা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু’র বিরুদ্ধ অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী দলের বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। বিক্রমাদিত্য কংগ্রেস নেতা তথা হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে। তার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী সুখু তার বাবাকে অসম্মান করেছেন।

হিমাচলের রাজ্যসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভা নির্বাচনে ‘ক্রস ভোটিং’ করায় বিজেপি। কংগ্রেস বিধায়কদের একটা অংশকে ভাঙিয়ে নিয়ে ভোট দেওয়ায় বিজেপির পক্ষে। কিন্তু তারপরেও লটারির সাহায্যে রাজ্যের একমাত্র রাজ্যসভা আসনে জয়ী হতে হয় গেরুয়া শিবিরকে।

৬৮ আসনের হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেস জয়ী হয় ৪০ আসনে। বিজেপি পায় ২৫ আসন। ৩টি আসনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থীরা। সমীকরণ অনুযায়ী জয়ী হওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির। কিন্তু বিজেপির তরফে কংগ্রেসের ৬ বিধায়ককে ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে। ৩ নির্দল বিধায়ককেও দলে টানে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী সুখুর অভিযোগ, কংগ্রেসের ৬ বিধায়ককে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস সমর্থিত নির্দলদের ৩ জনও রাজ্যসভায় কংগ্রেসের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

বিজেপি’র অনুগামী সংবাদমাধ্যম দল ভাঙানোর রাজনীতিকেই সাফল্য বলে প্রচারে নেমেছে মঙ্গলবার থেকে। ওই দিন রাজ্যসভার ভোটে বিজেপি উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিধায়কদেরও ভাঙিয়েছে। বলা হচ্ছে, একাধিক রাজ্যে ‘ইন্ডিয়া’-র শরিকরা আসন সমঝোতায় এগলেও এবার ধাক্কা খেয়েছে। কংগ্রেস সহ ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের বিভিন্ন দল যদিও প্রশ্ন তুলেছে রাজনীতির নৈতিকতা নিয়ে। দল ভাঙানোর রাজনীতি করে স্বচ্ছতার বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দাবি করা যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল বিজেপি’র উদ্দেশ্যে। 

Comments :0

Login to leave a comment