Citizenship Ammendment Act

নির্বাচনের আগে সিএএ‘র জিগির তোলার চেষ্টা বিজেপির

জাতীয় রাজ্য

caa nrc bengali news

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে নাগরিক পঞ্জিকরণ আইনের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হবে। রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার ঠাকুরনগরের সভা থেকে এমন দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র। সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ভোটের জন্য বাড়াবাড়ি করছে বিজেপি।  

রবিবার ঠাকুরনগরে সভা করে বিজেপি। প্রধান বক্তা ছিলেন অজয় মিশ্র। তিনি বলেছেন, ‘‘মতুয়াদের থেকে কেউ নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে না।’’

তিনি নিজের বক্তব্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘‘সিএএ পাশের প্রক্রিয়া গত কয়েক বছরে গতি পেয়েছে। কয়েকটি বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। কেউ মতুয়াদের থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে না। আগামী বছরের ৩০ মার্চের মধ্যে সিএএ’র চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’’

এই সভায় স্থানীয় বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিষ্টানদের সিএএ’র মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রের বক্তব্য, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে আশ্রয় নেওয়া এই পর্যায়ভুক্ত সমস্ত মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। 

এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে ২০১৯ সালের নির্বাচন লড়েছিল বিজেপি। ৫ বছর তারপর চুপ ছিল। মানুষ ধরে ফেলেছেন। তাই এখন আবার এই নিয়ে বলতে শুরু করেছে। কিন্তু এটা তো জাতীয় ইস্যু। অসমে উদ্বাস্তু বাঙালীকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়েছে বিজেপি। তাঁরাই পশ্চিমবঙ্গে এসে, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে উল্টো কথা বলছে ভোটের জন্য।’’

সিএএ’র অযৌক্তিকতা তুলে ধরে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঠাকুরনগরের সভায় শান্তনু ঠাকুরও উপস্থিত ছিল। তিনি যে সাংসদ কিংবা মন্ত্রী হয়েছেন, তারজন্য কোনও সিএএ কিংবা আলাদা কোনও কার্ড কী তাঁদের লেগেছে? মতুয়ারা যে আর ১০ দশজন ভারতীয় নাগরিকের মতোই সমস্ত নাগরিক অধিকার পান, শান্তনু ঠাকুর তার উদাহরণ। গোটাটাই ভোটের জন্য বাড়াবাড়ি করা।’’

এই প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘‘২০০৩ সালে বিজেপি দেশের সর্বনাশ করেছে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে। সেই কাজের অংশীদার ছিলেন মমতা ব্যানার্জি।’’

চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘উদ্বাস্তু মানুষের উপকার করতে চাইলে ২০০৩ সালের আইনটি বাতিল করুন। তাহলেই বাড়তি কিছু করার দরকার পড়বে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment