Abhishek Banarjee

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে অভিষেক

রাজ্য


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কোন রক্ষা কবচ পেলো না অভিষেক। বহাল রইলো বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সিবিআই এবং ইডি প্রয়োজনে জেরা করতে পারবেন অভিষেক ব্যানার্জিকে।
গত ৩০ মার্চ ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল আদালতে চিঠি দিয়ে জানান যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকরা তার ওপর চাপ তৈরি করছে অভিষেকের নাম বলার জন্য। মজার বিষয় কুন্তল যেদিন চিঠি দেয়। ঠিক তার আগের দিন শহীদ মিনারে যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেন যে তা নাম বলার জন্য কুন্তলকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। 


কুন্তলের চিঠির ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়। সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই এবং ইডিকে নির্দেশ দেন তৃণমূল সাংসদকে জেরা করার জন্য। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার এজলাস বদলায়। মামলা ফেরে হাই কোর্টে। এজলাস বদলালেও বদলায়নি রায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। উল্টে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য অভিষেক এবং কুন্তলকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি।
হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জা জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে যায় অভিষেক। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত জরিমানার বিষয়টি খারিজ করলেও ইডি সিবিআইয়ের জেরা করার নির্দেশ বহাল রেখেছে। 


তবে এর মধ্যে ১৩ জুন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরের জিঞ্জাসাবাদ করা হয় তৃণমূল সাংসদকে।
উল্লেখ্য কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথম শোনা যায় ‘কালিঘাটের কাকু’র কথা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি অভিষেকের কোম্পানি লিপ্স এন্ড বাউন্ডসের কর্মচারি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনিও গ্রেপ্তার হয়েছেন। ইডি তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এই সুজয় ভদ্র এক সময় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন যে তার মালিক অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি এও বলেছিলেন যে, ‘‘আমার মালিককে কেউ ধরতে পারে না।’’


আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চলছে সিবিআই তদন্ত প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত চলছে। জিঞ্জাসাবাদও হয়েছে অনেক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আসোল দোষীরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তদন্তের গতি নিয়ে বার বার আদালেতর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে।


এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৮০০ দিন চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে থাকা যোগ্য প্রার্থীরা স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছেন যে, কে কাকে ডাকলো তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই। তারা বিচার চায়, সুবিচার। টাকার বিনিময় যারা মেধাকে বিক্রি করলো তাদের শাস্তি দেখতে চায় তারা।
এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘‘আমাদের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। জানিনা আর চাকরি পাবো কিনা। তবে আমারা বিচার চাই যারা আমাদের চাকরি বিক্রি করলো তাদের শাস্তি চাই আমরা।’’

Comments :0

Login to leave a comment