অপারেশন সিঁদুর চলাকালিন পুঞ্চে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে দেখা করলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি এবং সাংসদরা। সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তাদের একটি প্রতিনিধি দল এমএ বেবির নেতৃত্বে কাশ্মীর যাবে। এদিন সেই প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে। ঘুরে দেখেন এলাকা। সঙ্গে ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামের বিধায়ক ইউসুফ তারিগামি। 
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেবি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের হামলায় এখানকার মানুষ তাদের ঘর হারিয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু ক্ষতিপুরণ ঘোষনা করা হয়েছে। পুঞ্চের অনেক মানুষের বাড়ির দরজা জানলা পর্যন্ত নেই। হামলার কারণ সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আক্রান্তদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের যেই আচরণ তার সমালোচনা করছি আমরা।’’ শুক্রবার কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে ক্ষতিপুরণ ঘোষনা করেন মোদী।
সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকা হওয়ায় পুঞ্চে বাঙ্কা তৈরি করা প্রয়োজন। যখনই কোন আক্রমণ হবে তাতে এখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।’’ তিনি জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে আক্রান্তদের পাশে থাকা হবে।
বেবি বলেন, ‘‘ওমার আব্দুল্লা বর্তমানে জম্মু এবং কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হওয়ায় মোদী এবং অমিত শাহ কাশ্মীরের যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ নিচ্ছে। কাশ্মীরে নিয়ে যখন কোন প্রশাসনিক বৈঠক হয় তখন তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকা হয় না, রাজ্যপালকে নিয়ে সেই বৈঠক হয়। গণতান্ত্রিক যেই পরিবেশ তা সম্পূর্ন ভাবে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।’’  
তিনি অভিযোগ করেন, পুঞ্চে যেই ক্ষতি হয়েছে সেই অনুযায়ী কোন ত্রান আসছে না। আট জনের একটা পরিবারকে ছোট একটা ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছে। বেবি জানিয়েছেন, সিপিআই(এম) সাংসদরা এই বিষয় সংসদে তুলে ধরবেন। এখানকার মানুষদের দুঃখ দুর্দশার কথা তারা তুলে ধরবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘পহেলগাম নিয়ে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের আহ্বান জানানো হয়েছিল সিপিআই(এম)’এর পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয়  কমিটির পক্ষ থেকে, কিন্তু তিনি তাতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সর্বদলীয় বৈঠকে সিপিআই(এম)’এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেখানে ছিলেন না। তিনি বিহারে গিয়ে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন।’’