Fragile Bridge

ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়েই চলছে যাতায়াত হুগলিতে

জেলা

যে কোন সময় ঘটতে পারে যে কোন দূর্ঘটনা। আর তার মধ্যে দিয়েই চলছে যাতায়াত। রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে প্রায় ভেঙে পড়েছে হুগলির কুন্তিরঘাটের কাঠের ব্রিজ। আর তার ওপর দিয়েই চলছে বাইক, রিক্সা, বিভিন্ন স্কুলের পুলকার। 
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় বহু বছর আগে কাঠের এই ব্রিজটি রঙ করা হলেও সেই ভাবে কোন মেরামতি করা হয়নি। যার ফলে ক্রমশ জীর্ণ হতে থেকে ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই সেতু। 
রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে সেতুর লোহায় মরচে পড়েছে, কাঠের পাটা ভেঙে গিয়ে বড় বড় ফাঁক তৈরি হয়েছে। কুন্তিঘাটে কুন্তি নদীর উপর ঝুলন্ত ব্রিজের স্বাস্থ্য খারাপ অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন। ভাঙা কাঠের জায়গা বাঁশ দিয়ে ভরাট করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাতেও বিপদ থেকে রক্ষা পায়নি নিত্য যাত্রীরা। ভাঙা ব্রিজে পা আটকে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে।  
রক্ষনা বেক্ষন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে ঠিক সেই ভাবে পর্যাপ্ত আলো না থাকার জন্য ক্ষোভ রয়েছে তাদের মধ্যে। এলাকার সাধারণ মানুষরা জানিয়েছেন যে, রাতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ব্রিজ দিয়ে চলাচল করা যায় না। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।


ব্রিটিশ আমলে তৈরী কুন্তী নদীর উপর এই ঝুলন্ত ব্রিজ অনেক দিন সংস্কার হয়নি। ফলে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ব্রীজের স্বাস্থ্য। দুদিকে লোহার টানার উপর থেকে লোহার বিম ঝুলছে। লোহার বিমের উপর কাঠের তক্তা পাতা। 
সূত্রের খবর ষোলো মন পর্যন্ত পন্য বহন করা যাবে নোটিশ দেওয়া থাকলেও তা মানা হয় না। গুজরাটের মোরবিতে ঝুলন্ত ব্রীজ ভেঙে পরে দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এরপরই কুন্তিঘাটে ঝুলন্ত ব্রিজে পুলিশ ভীর করতে দেয়নি। ছট পুজোর সময় ব্রিজে অনেকে ভীর করলে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
তৃনমূল পরিচালিত চন্দ্রহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীতা দাস জানান, ‘ব্রিজটা ভালো করে সংস্কার করতে হবে। পঞ্চায়েতের টাকা নেই। তাই জেলা পরিষদকে বলা হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে ব্রীজ পরিদর্শন করা হয়েছে। সংস্কারের প্রয়োজন সেটা তাদের বলা হয়েছে। কিন্তু কবে হবে জানি না।’

Comments :0

Login to leave a comment