Post Editorial

লুটেরাদের হাত থেকে মুক্ত করো দেশ

জাতীয় রাজ্য উত্তর সম্পাদকীয়​

গৌতম দেব


নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী এখন এদেশের হিন্দিতে বক্তৃতা দেওয়া বড় মাপের নেতাদের মধ্যে যে একজন তা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবেন না। অন্ততপক্ষে বর্তমান সময়ের এবং বর্তমান নেতাদের এবং আমাদের দেশে সংস্কৃতি,ইতিহাস, ঐতিহ্য-বিহীন একদল জনতার মানদণ্ডে। যদিও রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর বক্তৃতার ভাষা, সুর, ছন্দ, তীক্ষ্ণ ভাষায় বিরোধীদের সুতীব্র সমালোচনা এবং শুধুমাত্র বক্তৃতায় ওঠানামা নয়— সময়ে সময়ে এমনও হতো যে বাজপেয়ী জী pause নিচ্ছেন, না বিশ্রাম নিচ্ছেন, নাকি নিদ্রামগ্ন হয়েছেন সেটা বোঝাও একটা ধাঁধার মতো বিষয় ছিল।   
ভগবানের হাতে গড়া দল বিজেপি। অনেক নামে, অনেক চেহারায় তিনি মর্ত্যধামে আবির্ভূত হয়েছেন। তার প্রাচীনতম রূপ আরএসএস’র একশত বছর উদ্‌যাপন এসে গেছে এই বছরের শেষের দিকে। ড. হেগড়েকার ১০০ বছর পূর্বে মারাঠি বলয়ে সদর দপ্তর নাগপুরে সহমতের কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করে আরএসএস’র জন্মগ্রহণ সম্পন্ন করেন। এবং সেটা হয় নাগপুরে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময়ে।
অবাক বিস্ময়ে হেগড়েকার দেখলেন যে নাগপুর সহরে বিপুল সংখ্যক হিন্দু থাকা সত্ত্বেও আর মুসলমানরা সেই তুলনায় অনেক কম সংখ্যায় থাকা সত্ত্বেও দাঙ্গায় হিন্দুদের বুকে ভয় ধরিয়ে দিতে পারলো এবং তারাই হলো আগ্রাসী এবং ক্ষয় ক্ষতির দিক দিয়ে তারাই হিন্দুদের উপর আক্রমণকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়। হিন্দুদের ক্ষয় ক্ষতি অনেক বেশি হয়। আগে তত্ত্বগতভাবে যা বুঝেছিলেন তার সাথে নাগপুরের ঘটনায় ড. হেগড়েকার এবং তার সঙ্গী সাথিরা যেটা বুঝলেন যে সংখ্যাটাই সব সময় নির্ধারক নয়। আদর্শে, দৃঢ়তায়, শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর মতো কাজ করা, শত্রুর প্রতি ঘৃণা, শত্রুর ধর্মের প্রতি ঘৃণা থেকে নিজের ধর্মের প্রতি গর্ববোধ যদি না ফুটে ওঠে তাহলে শুধু সংখ্যা, রাজনীতি করায় কাজে লাগে না। সাভারকারের এই সাংগঠনিক প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হলো সাভারকার ভ্রাতৃদ্বয়ের তাত্ত্বিক ক্ষুরধার বাচনভঙ্গি। হেগড়েকারের ‘হিন্দুত্বয়া’ তত্ত্বটি নিয়ে যে বইটি প্রকাশিত হলো তা তখন ও পরবর্তীতে ভারতের হিন্দুত্ব-বাদীদের মধ্যে হিন্দুদের এক হওয়ার ব্যাপারে এবং তাত্ত্বিক বোঝাপড়া ছিল।
বিশ্ব হিন্দু মহাসভা তৈরি হয়েছিল তারও পরে এবং ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ছিলেন তার একজন বড় মাপের নেতা। অন্যদিকে পাকিস্তানে বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার মহম্মদ আলি জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লিগ গঠন হয়ে গেল। সেই সময়ে ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করে পাকিস্তানের দাবি তুললো লিগ। ব্রিটিশদের হলো পোয়া বারো– ‘ভারত ভাগ করো এবং শাসন করো’ নীতি কার্যকর করতে হলো সুবিধা। বাঙালি এবং পাঞ্জাবী সমেত আরও অনেকে হলো এর শিকার। দুই দেশেই শুরু হলো ভ্রাতৃঘাতী দাঙ্গা। রেলগাড়ি ভর্তি লাশ ওদেশ থেকে এদেশে পাঠিয়ে দিল। জিনিসের মতো এদিক থেকে ওদিকে। পালটা পালটি চলতেই থাকলো। জিন্নাহ আর সাভারকারের যৌথ প্রচেষ্টাই দেশ ভাগ করল।
সাভারকারের লোকজন কি খুশি! সাভারকারদের কথাই ভারতে এখন গ্যারান্টি করছে মোদী। মোদীর গ্যারান্টিতে আপাতত আমরা বসবাস করছি। সেরকমই এরাজ্যে মমতর উন্নয়নেও আমরা আছি। একই স্টাইলে সব চলছে। তবু এতসব বিকাশ আর উন্নয়নের পরেও  ভোট লুটের প্রচেষ্টা চলছে মোদী মমতার যৌথ তত্ত্বাবধানে।  

১৯৩০ সাল থেকে আরএসএস প্রচারক প্রথা চালু করে। অর্থাৎ সর্বসময়ের কর্মী, যারা সর্বক্ষণ আরএসএস’র কাজ করবেন। অন্য কোন বিষয়ে যুক্ত হবেন না। শুধুমাত্র আরএসএস’র কাজ করবেন ২৪ ঘণ্টা। সাধু সন্তদের আখড়ার মতো জনহিতে নিজের জীবন সঁপে দেওয়ার মতো করে জীবন সমর্পণ করা। ভারতের মতো বহু ভাষা ভাষীর দেশে আরএসএস’র স্বয়ংসেবকরা নিজের ভাষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা প্রদেশ বা রাজ্য ছাপিয়ে অন্য প্রদেশের জন্য কাজে নিয়োজিত হতেন। ১৯২৬ সাল থেকে আরএসএস তাদের ইউনিফর্ম চালু করে। আরএসএস মানে মালব্যর বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মাধব সহদেব গোলওয়ালকর শিক্ষকতা করতেন। সেখানে তিনি প্রণামের বিধি চালু করলেন। এ ছাড়াও গোলওয়ালকরের আরএসএস’র সদস্য হবার জন্য নতুন সংকল্পের শপথ নিতে হতো। ভারতবর্ষ ও হিন্দুধর্মকে পরম পূজনীয় বানাবার জন্য এই সব নানা প্রতিজ্ঞা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে হতো।
১৯২৯ সালের নভেম্বর মাসে হেগড়েকর এই নীতির প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করলেন যে, হিটলারের নীতিতে মান্যতা দিয়ে, একজনকে সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে গ্রহণ করা হবে।
অনেক বরেণ্য এবং নামজাদা হিন্দু সহ প্রায় ১০০০ জন নেতা এবং কর্মী বিশেষ পোষাকে আচ্ছাদিত হয়ে আরএসএস শোভাযাত্রা শুরু করে। সেখান থেকে ঘোষণা করা হয় যে হিন্দুরা হিন্দুদের ভাগ্য ভারতে নিজেরাই তৈরি করবেন। অন্যরা নাক গলাতে পারবেন না।

নাগপুর সহরে ৫জন ব্যক্তিকে নিয়ে আরএসএস তৈরি করেন ডঃ.হেগড়েকর ১৯২৫ সালে। হেগড়েকর সাভারকরের চিন্তায় অনেকটাই প্রভাবিত হন। উনি আরএসএস’র স্বাধীনতা নিয়ে খুব সচেতন থেকেও আরএসএস-কে হিন্দু মহাসভার সাহায্যে কিছুটা পরিচালনা করতেন। আরএসএস মহাসভার সাহায্য নিতেন এবং প্রয়োজন হলে দিতেনও।
সাভারকার, গোলওয়ালকরের পক্ষে সমস্ত আপদে বিপদে সম্ভাব্য সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও আরএসএস সাংগঠনিকভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং উত্তরাঞ্চলে নিজেকে বিস্তৃত করায় হিন্দু মহাসভার নেতৃবৃন্দ খুব আনন্দে ছিলেন তা নয়।
দয়ানন্দ সরস্বতী (১৮২৪ – ১৮৮৩) হিন্দুদের মধ্যে যেন মার্টিন লুথারের ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি হিন্দুদের মনেও যে যুদ্ধ বিগ্রহে পুরোপুরি আগ্রহ বর্তমান– এই তত্ত্ব সমর্থন করেন না। বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ – ১৮৯৪) একজন হিন্দু জাগরণের পক্ষে চিন্তাবিদ হিসাবে কাজ করেছেন। তার বন্দে মাতরম সারা দেশে জাতীয় রণধ্বনিতে পরিণত হয়। দুর্গা, কালী– কেউই রেহাই পায়নি— এই সব জাতীয় চিন্তাবিদদের মাতৃবন্দনা থেকে। আজ ‘ব্যাপারীদের’ দ্বারা পরিচালিত বিজেপি পার্টির নেতৃত্বে যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি আছে তারা বিভিন্ন আদবকায়দায় এদেশে হিন্দু জাগরণ ঘটাতে চাইছে। রাম সেবায় এবং অযোধ্যায় মন্দির-মসজিদ বিতর্কের বিষয়ে, জোর যার মুলুক তার– মনোভাবের মধ্য দিয়ে সমাধান করা হলো।
আরএসএস প্রথম থেকেই হিংসার পক্ষে। বর্তমান আরএসএস প্রধান দিল্লিতে বুদ্ধিজীবীদের এক সমাবেশে বলেন  (২৫ ডিসেম্বর,২০০৯)  “দেশের পুলিসের ম্যানুয়াল খুললে দেখা যাবে সেখানে মোট প্রশিক্ষণের মাত্র ২৫% অস্ত্র শিক্ষার প্রশিক্ষণ হয়। বাকি ৭৫% যা শেখানো হয় তা সবই আরএসএস সদস্যদের তৃতীয় বর্ষের অনুরূপ”।  সে কারণে আরএসএস সুপ্রিমো বলেন যে দেশের সৈন্যবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন যে সাধারণ কোন ব্যক্তির বাহিনীর প্রশিক্ষণে, অস্ত্রশিক্ষাসমেত যদি ৪-৫ মাস সময় লাগে তাহলে স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণে ৩/৪ দিন সময় লাগে।
আরএসএস’র বিষয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অভিমত হচ্ছে , ‘‘The RSS was established as an armed, militant wing of Hindu Nationalism in order to overpower and wipe out Indian Nationalism from the country’’.

কয়েকদিন আগে G20’র বৈঠক নয়াদিল্লিতে হলো। ভারত এই জাতীয় আন্তর্জাতিক অত্যন্ত ক্ষমতাশালী এবং সম্মানীয়, ওজনদার সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করার সুযোগ খুব একটা পায় না বা পশ্চিমীরা দেয় না। এখন ‘মোদীকা হাত সবকা সাথ’ এর যুগ চলছে। অর্থনীতিতেও ভারত অনেক পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে সামনের দিকে নাকি এগিয়ে আসছে। তার চেহারা কেমন তা ভারতবাসী মাত্রই টের পাচ্ছেন। তারপরেও সম্প্রতি মোদী সাহেব জানান দিয়েছেন যে তিনি OBC সম্প্রদায়ভুক্ত। অর্থাৎ চলমান, বহমান সমাজে  তিনি অবহেলিত এবং নিষ্পেষিত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়দের হাতে এবং স্বাভাবিকভাবেই তার মিত্র হচ্ছে দলিত শ্রেণি।

যদিও একটু বই পত্র ঘাঁটাঘাঁটি করার বদ অভ্যাস যাদের আছে তারা জানেন গীতা ভক্ত এবং রামভক্ত বিজেপি এবং মোদী গীতার সেই অমোঘ বার্তা সব সময় নিজেরা খেয়াল রাখে এবং অন্য মানুষদের বিশ্বাস করতে বলে। তা হচ্ছে ভগবান নিজ দেহ থেকে এদেশে জাতপাতের সৃষ্টি করেছেন। (যদিও এ কারণে আমরা জেনে গেলাম যে আমাদের ঈশ্বর বা ভগবানের ক্ষমতা এবং হাজিরা শুধুমাত্র ভারতের মানচিত্রেই সীমাবদ্ধ।) ভগবানের মাথা থেকে এসেছেন ব্রাহ্মণরা, বাহু থেকে ক্ষত্রিয়রা, দেহের মধ্যাংশ থেকে বৈশ্যরা এবং পদযুগল থেকে শূদ্ররা। হিন্দুদের জাতিপ্রথা কঠোর এবং সুদৃঢ় ভিত্তির উপর অবস্থিত– এটা অটুট এবং অটল। কোনও অবস্থাতেই এর পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ ব্রাহ্মণের ছেলে মোদীর আমলে কাজ না পেয়ে চর্মকারের কাজ যদি করেন তাহলে তিনি চর্মকার হবেন— এটাই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয় না। এই সচলতা বা মোবিলিটি ভারতের জাতিপ্রথার মধ্যে নেই। এখানে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় জাতিভেদের বংশ পরম্পরা। যে যে জাতে জন্মগ্রহণ করেছে সে সেই জাতেরই পরিচয় বংশ পরম্পরায় বহন করে।

ভারতের জাতিপ্রথা বিশ্বে বহু দেশের মানুষের কাছে বিস্ময়কর এবং হাস্যকর এবং নিন্দনীয়ও বটে। কিন্তু OBC প্রধানমন্ত্রী এজন্য অনুতপ্ত নন। তিনি এটাই আমাদের সামনে জাদুছড়ি নিয়ে উপস্থিত করছেন যে ভারত আজ দুই শতাধিক দেশের মধ্যে কয়েকদিন আগের মধ্যমবর্গীয় অবস্থান থেকে এখন প্রায় দুই/তিন নম্বরে চলে এসেছে। 
জনসংখ্যার বিচারে যা বোঝা যাচ্ছে,যেহেতু সেন্সাস হচ্ছেনা , তাই অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত নানা তথ্য সম্মিলিত করে দেখা যাচ্ছে যে ভারত সারা বিশ্বে জনসংখ্যায় প্রথম। এক্ষেত্রে ভারত চীনকেও টপকে প্রথম স্থানে। কিন্তু সারা দেশে যেদিকে যেদিকে যেদিকে তাকান বেকার আর বেকার। এই বেকার-বাহিনীর মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আছেন, আছেন মাস্টারমশাইরা। যাদের হাল আমরা দেখছি কলকাতার পিচ-গলা রাস্তায়। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই ভারতের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় স্যাটেলাইট সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতি ঘটাচ্ছে ভারত। তার সর্বশেষ নমুনা হচ্ছে চন্দ্রাভিযান। এই সাফল্যের পর মোদীর উৎসাহ এবং আনন্দ মিশ্রিত অভিব্যক্তি টিভির পর্দায় সব মানুষ দেখেছেন। মোদীর গ্যারান্টির শক্তি মানুষকে টের পাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু বেকার কমানোর ব্যাপারে মোদীকা গ্যারান্টি সবকো সাথ থাকে না। এখানে কোটি তো দূরের কথা লাখের গণ্ডিও পার হয়নি। শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কাজের প্রশ্নে মোদী সাহেবের নো গ্যারান্টি এবং নো ভেকান্সির বোর্ড ঝুলছে। আর যে প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বিশেষ করে গ্রামীণ গরিব মানুষের মধ্যে লাখো কর্ম-দিবস তৈরি হবে সেটা মোদী মমতা সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে জনগণকে বুঝিয়েছিলেন তার অন্তিম পারিণামে দুটো দলেরই মুখ্য বাহিনী দলবলসহ আজ কারান্তরালে। এন্তার খুন হচ্ছে দুই দলের লোকই– এই লুটের বখরা নিয়ে। মোদী মমতার দৌলতে জমির দালালিতে, ঘুষের টাকার সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে শহরগুলিতে প্রোমোটারদের অধীনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শতশত বেকার যুবক, তারা অসহায়। বাড়ি বানাতে ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট লাগছে না– পাড়ার দাদাই যথেষ্ট। অনুমোদনের কেউ তোয়াক্কা করছে না। যাদের যেটা জানার কথা তারা বলছেন কিছুই জানেন না!! আর পুলিশ-মন্ত্রী নিয়ে তো কোনও কথাই নেই!!!


 


 

 

Comments :0

Login to leave a comment