বুধবার ফুটবল বিশ্বকাপের ই গ্রুপের ম্যাচে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারালো জাপান। এই জয়ের ফলে এশিয়ান ফুটবলে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন আসানো, মায়েদা’রা।
প্রথমার্ধে ৩২ মিনিটে ইলকে গুন্ডোগানের গোলে জাপানের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিটে সেই গোল শোধ করেন জাপানের ৮নম্বর জার্সিধারী রিটসু ডোয়ান। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল শোধ করেন তিনি। ৮৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন টাকুমা আসানো। দুই অর্ধ জুড়ে সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল জার্মানদের।
এদিন শুরুর ১৫ মিনিট মাঝমাঠের দখল নিতে সমস্যায় পড়েন জার্মানরা। লংবলের বদলে জার্মানরা মাটিতে বল রেখে ছোট ছোট পাসে খেলার চেষ্টা করেন। একাধিক বার তাঁদের মিস পাসের সুযোগ নিয়ে প্রতি আক্রমণে উঠে আসে জাপান। ৭ মিনিটের মাথায় কাউন্টার অ্যাটাক থেকে জার্মানির জালে বল পাঠান জাপানের ডাইজেন মায়েদা । কিন্তু অফসাইডের জন্য তাঁর গোল বাতিল হয়। এরপরে ক্রমেই ছন্দে ফেরেন ন্যয়ার, রুডিগার, জ্ঞ্যাব্রীরা। জাপান বক্সে ডেভিড রৌমকে ফাউল করেন জাপানের গোলরক্ষক গোন্ডা। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন গুন্ডোগান।
প্রথমার্ধের গতিতেই দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু করে জার্মানি। অজস্র ছোট ছোট পাসে নাস্তানাবুদ করতে থাকে জাপানের ডিফেন্সকে। প্রচুর সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন জার্মানরা। ৫৯ মিনিটে গুন্ডোগানের শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর ৭১ মিনিটের মাথায় গোল মিস করেন জ্ঞ্যাব্রী। এরইমাঝে প্রতি আক্রমণে উঠতে শুরু করে জাপান। ৭২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন আসানো। কিন্তু ন্যয়ারের কাছে পরাস্ত হতে হয় তাঁকে। এর ৩ মিনিট পরে ফের কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে জাপান। এবার কোনও ভুল করেননি ডোয়ান।
সমতায় ফেরার পর থেকে চাপ বাড়াতে থাকে জাপান। ৮৪ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন ১৮ নম্বর জার্সিধারী টাকুমা আসানো।
এরপর সর্বশক্তি দিয়ে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেন জার্মানরা। কিন্তু ১১জনে ডিফেন্স করে কোনওক্রমে দূর্গ রক্ষা করেন জাপানের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে জাপানের অর্ধে ফ্রিকিক পায় জার্মানি। গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার পর্যন্ত উপরে উঠে যান গোল শোধ করার জন্য। কিন্তু ‘টিম জার্মানি’র সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় রুডিগারদের।
Comments :0