KASHMIR INCIDENT

মসজিদে ‘জয় শ্রী রাম’ বলানোর অভিযোগ, মেজরকে সরাল ভারতীয় সেনা

জাতীয়

JAMMU AND KASHMIR INDIAN ARMY RASHTRIYA RIFLES COMMUNAL VIOLENCE BENGALI NEWS

কাশ্মীরের মসজিদে ঢুকে গ্রামবাসীদের দিয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়ানোর গুরুতর অভিযোগ উঠল ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে জম্মু কাশ্মীরে। 

শনিবারের এই ঘটনা সামনে এসেছে সোমবার। এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলওয়ামা জেলার জাদুরা গ্রামে শনিবার ভোরে টহল দিচ্ছিলেন ভারতীয় সেনার অন্তর্গত রাষ্ট্রীয় রাইফেল্‌সের জওয়ানরা। সেই সময় স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য আজান দিচ্ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন। অভিযোগ, মুয়াজ্জিন এবং নামাজ পড়তে আসা গ্রামবাসীদের মারধোর করেন টহলরত জওয়ানরা। তাঁদের ‘জয় শ্রী রাম’ এবং ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়।

এই ঘটনা সামনে আসতে বেকায়দায় পড়েছে ভারতীয় সেনা সহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। এখনও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো না হলেও, অভিযুক্ত জওয়ানদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের কাজে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এনডিটিভি সূত্রে খবর। 

ঘটনার তীব্রতা সামাল দিতে ইতিমধ্যেই জাদুরা গ্রামে যান নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। তাঁরা গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে, এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেনা সূত্রে খবর, ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে এক মেজর পদমর্যাদার অফিসারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হবে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সমালোচনায় সরব হয়েছেন উপত্যকার সমস্ত শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করে জানান, ‘‘জাদুরার মতো ঘটনা কোনও সভ্য দেশে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আশা করছি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ঘটনার যথাযত ব্যবস্থা নেবেন।’’

কাশ্মীর পিপল্‌স কনফারেন্সের নেতা সাজাদ লোন টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘ জাদুরার ঘটনা থেকে স্পষ্ট, বিভাজনের মানসিকতা সমাজের কত গভীরে প্রবেশ করেছে। কার্যত ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। হয়ত হতাশই হব, তবুও চরমতম আশাবাদী হয়ে আশা করব, প্রশাসন এমন কোনও ব্যবস্থা নেবে, যাতে এই ধরণের ঘটনা উপত্যকায় আর কোনওদিন না ঘটে।’’

প্রক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ এই ঘটনার তীব্র বিরোধীতা করে বলেন, ‘‘ প্রায় তিন দশক ধরে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু কোনওদিনও তাঁদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক কাজকর্ম করার অভিযোগ ওঠেনি। বরং সদ্‌ভাবনা প্রকল্পের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে তৎপর হয়েছিল সেনাবাহিনী। বর্তমানে তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠা অত্যন্ত দুঃখজনক।’’

Comments :0

Login to leave a comment