Maharashtra passed resolution on Belgavi

বিভাজনের রাজনীতি খেলছে মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক

জাতীয়

দক্ষিণের দুই রাজ্য কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র, শাসক দল বিজেপি (BJP) ও বিজেপি সমর্থিত জোট সরকার। লড়াই ভাষা নিয়ে। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির খেলা। আলোচনার কেন্দ্র কর্ণাটকের (Karnatak) বেলগাভি। বিতর্কিত এই অঞ্চলটি কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত হলেও সেখানে সিংহভাগ মারাঠি (Marathi) ভাষাভাষি মানুষের বাস। এটা নিয়েই মূল দ্বন্দ্ব। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। কর্ণাটকের দাবি ওই অঞ্চল তাদের মহারাষ্ট্রের দাবি মারাঠি মানুষের বাস অর্থাৎ সেই অংশ তাদের রাজ্যের অধীনেই আসবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকায় স্বাভাবিক জন জীবন বিপর্যস্ত বেলগাভি সহ বিস্তির্ণ অঞ্চলে।


মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ড মঙ্গলবার নাগপুরে বিধানসভা অধিবেশনে প্রস্তাব রাখেন বেলগাভি সহ কারওয়ার, নিপ্পানি, ভালকি, বিদার ও ৮৬৫ (865) টি মরাঠি ভাষাভাষির গ্রামকে মহারাষ্ট্রের অধিনে নিয়ে আসার। তার জন্য কর্ণাটকের সঙ্গে যা যা আইনি প্রকৃয়া করার তা তিনি করবেন। 
পাল্টা তোপ দেগেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavraj Bommai)। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার যে প্রস্তাব পাশ করেছে বিধানসভায় তা বেআইনি। তার দাবি বেলগাভি ও সীমান্ত নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সেখানে এই ধরনের প্রস্তাব আনার কোনো ভিত্তিই নেই। দিন কয়েক আগে কর্ণাটক সরকারও একটি প্রস্তাব পাশ করেছে। সেখানে কর্ণাটকের একফোটা জমিও সরকার হাতছাড়া হতে দেবে না বলে জানিয়েছে।


সম্প্রতি বালগাভিতে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে একদল ছাত্র আনন্দ করছিল। সেই সময় কর্ণটাকের পতাকা গায়ে জড়িয়ে এক ছাত্রকে নাচতে দেখা যায়। তারপরেই তাকে মারধর করে বেশ কয়েকজন। তা নিয়েই নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হয় বলগাভিতে। সেই সুযোগ নেয় মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক দুই সরকার। দুই রাজ্যের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা তো দুর বরং বিভেদ সৃষ্টি করছে বলে দাবি বিরোধীদের। সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক হিংসা ও ভাষাগত বিভেদ ভুলে একত্রিত হওয়ার বার্তা না দিয়ে কে কোন জমি নেবে এই তরজায় ব্যস্ত দুই রাজ্য।

Comments :0

Login to leave a comment