Malda housewife death

রাস্তার জন্য গাড়ি ঢোকেনা গ্রামে, হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু বধুর

রাজ্য জেলা

গ্রামের রাস্তার অবস্থা খারাপ কোন টোটো, অটো, অ্যাম্বুলেন্স কিছুই সেই রাস্তা দিয়ে যেত পারেনা। তাই জ্বরে ভুগতে থাকা মামণি রায়কে খাটিয়ায় বাঁশ বেঁধে কাঁধে করে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা পার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বামী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়। দেহ এখনও গ্রামে আসেনি। হাসপাতালের মর্গে তা আছে। ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে দেওয়া হবে। মালদহের বামনগোলায় এই ঘটনা ঘটেছে।

শুধু বামনগোলা নয় মালদহের একাধিক এলাকা যেমন মালডাঙা, নপাড়া, হাড়িভাঙায় রাস্তার একই অবস্থা। কোন গাড়ি গ্রামে ঢুকতে পারেনা। কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়না। কোন মতে নিয়ে গেলেও রাস্তায় মৃত্যু হয় রোগীর। 

এবারের বাজেটে গ্রামীণ রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১১,৫০০ কোটি টাকা। টাকা যদি বরাদ্দ হয়ে থাকে তাহলে তা কাজে লাগানো কেন হলো না ইতিমধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গ্রানমবাসীরা জানাচ্ছেন রাস্তার দাবিতে তারা একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছেন, পঞ্চায়েতে বলেছেন কিন্তু কিছু হয়নি। গৃহবধুর মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম।

মালদহের এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি বলেন, ‘‘রাস্তা খারাপের জন্য ওর মৃত্যু হয়েছে এটা ঠিক নয়। কপালে ছিল তাই মারা গিয়েছে।’’

মন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত এই ধরনের ঘটনার পর। সরকারের অপদার্থতা ক্রমশ সামনে আসছে। রাস্তা তৈরি করতে পারেনি, টাকা লুঠ করেছে আর বলছে কপালে ছিল তাই মারা গিয়েছে।’’

 

Comments :0

Login to leave a comment