মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব - ৬
জামশেদপুর এফসি- ০
ডুরান্ড কাপের মরণবাঁচন ম্যাচ জিতেও বিদায় মহামেডানের। জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ৬-০ গোলে জয় পেল সাদাকালো ব্রিগেড। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে গেলে এই ম্যাচে ৭ গোলের ব্যবধানে জিততে হত তাঁদের। তাই জয় পেলেও গরবর্তী ধাপে যাওয়া হলনা সাদাকালো ব্রিগেডের।
রবিবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, যথেষ্ট আধিপত্য বিস্তার করে খেলে মহামেডান। ম্যাচের ১০ মিনিটে, রেমসাঙ্গার গোলে প্রথমেই এগিয়ে যায় সাদাকালো ব্রিগেড। সেখানেই শেষ নয়, ঠিক ১৬ মিনিটের মাথায় আবারও রেমসাঙ্গার গোল এবং ব্যবধান আরও বাড়ায় মহামেডান স্পোর্টিং ফুটবল দল।
তবে জামশেদপুর এফসির গোলরক্ষক মোহিত সিং একটি দুরন্ত সেভ করেন। ম্যাচের ২৮ মিনিটে, অ্যালেক্সিসের অ্যাসিস্ট থেকে ডেভিডের দুর্দান্ত গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সাদাকালো ব্রিগেড। ভ্যানলালজুডিকার হেডার মিস না হলে, ফার্স্ট হাফেই আরও বড় ব্যবধানে লিড নিতে পারত মহামেডান স্পোর্টিং। শেষমেশ প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-০ ফলাফল নিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধে একটি পেনাল্টি পায় জামশেদপুর এফসি। কিন্তু দুরন্ত সেভ করেন মহামেডান গোলরক্ষক। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে, ডেভিডের গোলে যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যায় তাঁরা। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে, ফের একটি ভালো সেভ করেন মহামেডান গোলকিপার জংতে।
অন্যদিকে, দলে একটি পরিবর্তন করেন মহামেডান কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। জেমস সিং-এর বদলে মাঠে আসেন প্রিন্স। ম্যাচের ৮২ মিনিটে আবার ডেভিডের গোল এবং সেইসঙ্গে, হ্যাটট্রিকও সেরে ফেলেন তিনি।
এরপর আরও দুটি পরিবর্তন করেন মহামেডান হেডস্যার। রেমসাঙ্গার বদলে মাঠে আসেন ডেনজিল এবং অভিষেক হালদারের জায়গায় নামেন তন্ময় ঘোষ। কয়েকমুহূর্ত পরেই আবার গোল এবং এক্ষেত্রেও সেই ডেভিড। মহামেডান ম্যাচে লিড নেয় ৬-০ ব্যবধানে। কিন্তু আরও একটি গোলের প্রয়োজন ছিল এই ম্যাচে। তবে সেটি আর করতে পারেনি মহামেডান স্পোর্টিং দল। তাই শেষপর্যন্ত ৬-০ ফলাফল নিয়েই শেষ হয় এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে মহামেডান কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু জানান, "আমরা আজকে সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছি, ধন্যবাদ জানাই ছেলেদের। কিন্তু গত ম্যাচে, ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে রেফারির একটা ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের দলের জন্য খারাপ হল। তবে এই আত্মবিশ্বাস আগামীদিনে আমাদের সাহায্য করবে।"
সবমিলিয়ে, এক অসাধারণ লড়াইয়ের ছাপ রাখল গোটা মহামেডান দল।
Comments :0