Migrant Worker Death

সিজারুলের দেহ ফেরাতে পাশে অন্ধ্রের সিপিআই(এম) কর্মীরা

জাতীয় রাজ্য

ফের ভিনরাজ্যে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের। দেহ ফেরাতে উদ্যোগ নিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের সিপিআই(এম) নেতা কর্মীরা। মুর্শিদাবাদ জেলার রানীনগর থানার মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা সিজারুল সেখ তাঁর দুই ভাইয়ের সাথেই কেরালার নান্নুর গিয়েছিলেন কাজে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চব্বিশ বছর বয়েসী সিরাজুল সেখ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি আসতে চান। তাঁকে নিয়ে ট্রেনে ফিরছিলেন দাদা এজারুল সেখ। ছিল না রিজারভেশন। কোন মতে ভিড় ট্রেনে ফিরছিলেন অসুস্থ সিরাজুল ও তাঁর দাদা। মাঝ রাতে ট্রেনে হৈচৈ শুনে ঘুম ভাঙে এজারুল সেখের। শুরু হয় ভাইয়ের খোঁজ। যাত্রীদের কথা শুনে বুঝতে পারেন ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে ভাই। ট্রেনের চেন টেনে নেমে পড়েন। তারপর বেশ খানিকটা হাঁটার পর ট্রেন লাইনেই ভাইরের মরদেহ দেখেন। রেল পুলিশের কাছে খবর গেলে মরদেহ সেখান থেকে পরে উদ্ধার করে নিয়ে যায় রেল পুলিশ। 
মৃত যুবকের বাবা এসরাফিল সেক যোগাযোগ করেন স্থানীয় সিপিআই(এম) কর্মী পলাশ সরকারের সঙ্গে। তিনি যোগাযোগ করেন সিপিআই(এম) জেলা নেতৃত্ব ও রানিনগরের স্থানীয় নেতাদের সাথে। সকালেই রেল হাসপাতালে পৌঁছান অন্ধ্রপ্রদেশের এলুরু জেলার সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক এ রবি, টাউন সম্পাদক কৃষ্ণা, স্থানীয় পার্টি কর্মী রামান নিজেরা। এজারুল সেখ তেলগু না জানায় তারাই কথা বলেন পুলিশ প্রশাসন, রেল পুলিশের সাথে। মরদেহ জিআরপির থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এলুরু জেলা হাসপাতালে সেখানেই হয় মনাতদন্ত। শেষ পর্যন্ত মৃতের ভাইয়ের পাশে ছিলেন সিপিআই(এম) কর্মীরা। দুপুরে মরদেহ রওনা দিয়েছে এলুরু থেকে।
তবে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যুতে মাথায় আকাশ ভেঙেছে পরিবারের। মৃতের বাবা এসরাফিক সেখ জানান, অনেক আশা নিয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিল ছেলে। এভাবে মরদেহ ফিরবে ভাবিনি। মরদেহ গ্রামে ফেরানোর খরচ কীভাবে উঠে আসবে তা বুঝতে পারছে না পরিবার। যদিও পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের ছেলের দেহ ফেরাতে চলছে অর্থ সংগ্রহ।


 

Comments :0

Login to leave a comment