Nitin Gadkari

স্বাস্থ্য এবং জীবন বীমার থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করুন নীতিনের আবেদন সীতারামনকে

জাতীয়

স্বাস্থ্য বীমা এবং জীবন বীমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গঢ়কড়ি। মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে নাগপুরের বীমা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তার কাছে এই আবেদন করা হয়েছে।

জিএসটি চালু হওয়ার পর স্বাস্থ্য বীমা এবং জীবন বীমার ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপায় মোদী সরকার। যার ফলে খরচ বাড়ে এই দুই বীমার। চিকিৎসা খরচ কিছুটা কমানোর জন্য সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য বীমার আশ্রয় নেয়। কিন্তু মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে দুই বীমার খরচ বেড়েছে। যার ফলে বোঝা বেড়েছে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে।

সীতারামনকে লেখা চিঠিতে গঢ়কড়ি বলেছেন যে, ওই ইউনিয়ন মনে করেন পরিবারের সুরক্ষার জন্য একজন ব্যাক্তি যেই জীবন বীমা করছেন তার ওপর এই বোঝা না চাপানো ভালো। একই ভাবে স্বাস্থ্য বীমার ওপর যেই জিএসটি তাও সাধারণের স্বার্থে প্রত্যাহার করা উচিত। 

নীতিনের এই চিঠির কথা সামনে আসার পর বিভিন্ন মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করা শুরু হয়েছে। অনেকে কটাক্ষও করেছেন। 

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার স্বাস্থ্যবীমার কিস্তিতে ১৮ শতাংশ পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি চাপিয়েছে। যার ফলে প্রতি বছর প্রিমিয়ামের সঙ্গে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে উপভোক্তাদের। স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি ১৮ শতাংশ, আর হিরের গয়নায় জিএসটি এই দেশেই ৩ শতাংশ!
সরাসরি সরকারের টাকায় চালু স্বাস্থ্যবিমা বা নিজেদের পকেট থেকে কিস্তিতে মেটানো বিমা, সব মিলিয়েও ভারতে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় নেই প্রায় ৪০ কোটি মানুষ। যাঁরা রয়েছেন, মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকার মতো কভারেজ পেতেও দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের কিস্তি। বিমার এজেন্টরা জানাচ্ছেন, চল্লিশ বছর বয়সী পুরুষ, মহিলা এবং এক সন্তান মিলিয়ে পরিবারের ৩ লক্ষ টাকা বিমার জন্য দশ বছর আগে কিস্তি ৮-৯ হাজার টাকা ছিল। এখন বেড়ে বছরে ১৩-১৫ হাজার টাকা। তার একটি কারণ কিস্তিই বেড়েছে। তার ওপর পড়েছে জিএসটি।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের আগে কোন সার্ভিস চার্জও ছিল না। ট্যাক্স তো দুরের কথা। যা প্রিমিয়াম তাই দিতে হতো কোন বাড়তি টাকা দিতে হতো না। জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে যা দিতে হচ্ছে।   

Comments :0

Login to leave a comment