Schools in North Dinajpur

শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে উত্তর দিনাজপুরের অধিকাংশ জুনিয়র হাই স্কুল

জেলা

শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে উত্তর দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ জুনিয়র হাই স্কুল। নতুন শিক্ষাবর্ষে বেশিরভাগ স্কুলে পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়া। কোথাও আবার শিক্ষক না থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে ভর্তি করছেন অভিভাবকেরা। চলতি বছরে চাকুলিয়ার জুনিয়ার গার্লস হাই স্কুল পড়ুয়া শূন্যতে দাঁড়িয়েছে। অনেক জুনিয়র হাই স্কুল শিক্ষকের অভাবে কার্যত ধুঁকছে। অন্য দিকে, কানকি জুনিয়র হাই স্কুলের স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অন্যত্র বদলি নিয়েছেন। গ্রুপ-ডি কর্মীর ভরসায় চলছে। শিক্ষিকা না থাকায় ছাত্রীরা ক্লাসে এসে নিজেদের মতো পড়াশোনা করছে। তাদের পাহারা দিচ্ছেন স্কুলের ওই কর্মী। এক জন অতিথি শিক্ষিকা দিয়ে কোনওমতে ক্লাস করা হলে তাও নিয়মিত না। শিক্ষিকা না থাকায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
একই অবস্থা ইসলামপুর, চোপড়া করণদিঘি ও গোয়ালপোখর সহ - ইটাহার এবং কালিয়াগঞ্জ ব্লকের একাধিক জুনিয়র হাই স্কুলের। কোনও স্কুলে রয়েছেন এক জন। কোথাও মোটে দু'জন অতিথি শিক্ষক। এ ভাবে জেলার একাধিক জুনিয়ার হাইস্কুলগুলো ধুঁকতে খুঁকতে চলছে। চাকুলিয়ার এলাকার এক অভিভাবক রতন মজুমদার বলেন, ‘‘সরকারের উচিত দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে বিদ্যালয়গুলিকে বাঁচানো।’’
দু'মাস আগে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া হলেও জেলার স্কুলগুলোতে শিক্ষক মেলেনি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ। ফলে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অধিকাংশ। উচ্চ জুনিয়ার হাই স্কুল। উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা মুজ্জামেল হক নামে এক উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থী বলেন, “স্কুলগুলি শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে।।" জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মুরারিমোহন মণ্ডল বলেন, "উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।"

Comments :0

Login to leave a comment