ssc scam

তালিকা দেননি আদালতে, যোগ্যদের চাকরি বাতিলের দায় মুখ্যমন্ত্রীর: চক্রবর্তী

রাজ্য

যোগ দেওয়ার কথা মুখে বললে হবে না, সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর মুখের কথায় কেউ বিশ্বাস করে না। 
সোমবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, অযোগ্যদের সঙ্গে সরকার মিলিয়ে দিচ্ছে যোগ্যদের। 
আদালতের রায়ে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে এদিন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা ব্যানার্জি তাঁদের স্কুলে যেতে বলেছেন ‘স্বেচ্ছা পরিষেবা’ দেওয়ার জন্য। 
কিন্তু এদিনও চাকরিহারারা তাঁদের আট দফা দাবির মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য বাছাইয়ের বিষয়টি রেখেছেন। আদালতে সরকার বা স্কুল সার্ভিস কমিশন এই তালিকা না দেওয়াতেই যোগ্যদেরও চাকরি বাতিল হয়েছে। 
চক্রবর্তী বলেছেন, নেতাজি ইন্ডোরের সভা ঘিরে চক্রবর্তী আরও বলেন,  যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আরও একবার প্রতারণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ্যদের না ডেকে, পাস না দিয়ে, দলের লোকেদের ডাকলেন। 
চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দাবি হলো, অযোগ্যের সংখ্যা, যা আপনার সরকারের বিভিন্ন দপ্তর মেনে নিয়েছে, এই সংখ্যাটা প্রায় আট হাজার, এই আট হাজারকে অযোগ্যকে আপনি খারিজ করুন। বাকি যোগ্য যাঁরা চাকরি হারালেন, তাঁদের রিভিউ করুন। 


মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে তিনি বলেন, ২০২২ সালে নেতাজি ইন্ডোরে চাকরির কাগজ দিয়ে দিচ্ছি বলে ডেকেছিলেন। তখন বেসরকারি চাকরির কাগজ দিয়েছিলেন, তা-ও সেগুলি ‘ফেক অ্যাপয়েনমেন্ট’। তাই ওঁর মুখের কথাযকে বিশ্বাস করার কোনও সুযোগ নেই। নোটিফিকেশন করে বলুন শিক্ষকরা কাল থেকে স্কুলে যাবেন। তা না হলে সরকার নিজের দায় অস্বীকার করে যোগ্যদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেবে। 
নেতাজী ইন্ডোরে অযোগ্যদের তরফে যে যে দাবি তোলা হয় তার মধ্যে রয়েছে সকল যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশ করতে হবে। তাঁদের বক্তব্য, সব বিরোধী দল চাকরিহারাদের প্রতি সহমর্মী। তাঁদের নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করা উচিত। 
উল্লেখ্য, আদালতে জানানো হয় জে স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিট পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই নথি থাকলে যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে সমস্যা হতো না। সংশ্লিষ্ট সব অংশেরই ক্ষোভ, টাকা নিয়ে কাজ দেওয়া অযোগ্য দের বাঁচাতে ওএমআর শিট না থাকার যুক্তি খাড়া করা হয়েছে আদালতে। 
চক্রবর্তী বলেন, যোগ্য ছেলে মেয়ে, যারা ভালো লেখাপড়া করেছে, তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন শুধু টাকার বিনিময় চাকরি দিতে গিয়ে।  এখন বলছেন সুপ্রিম কোর্ট তালিকা দিক। স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, রাজ্য সরকার, তারা তালিকা দেবে। এই কথা শুধু সুপ্রিম কোর্ট কেন হাইকোর্টও বারবার করে বলেছে। প্রায় দু’বছর সময় পেয়েছেন। সেই সময়ের ব্যবহার না করে নষ্ট করেছেন। চাকরিহারাদের যে বিপদে পড়তে হয়েছে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীর।
চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অপরাধ করেছেন। হাইকোর্টে ধরা পড়ে গেছেন। দায়িত্ব পালন করেননি, সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ঠিকমতো ভূমিকা নিতে পারলেন না। এটা একটা পরিকল্পিত দুর্নীতি।

 

Comments :0

Login to leave a comment