পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার দিন থেকেই রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হচ্ছে বান্ডিল বান্ডিল ব্যালট পেপার। গণনা শেষের পাঁচদিন পরেও গণনা কেন্দ্রের বাইরে মিলছে সিপিআই(এম)’র প্রতীকে ছাপ দেওয়া ব্যালট। পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লক, পূর্বস্থলী, বালুরঘাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর সহ রাজ্যের ভিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিন উদ্ধার হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীদের প্রতীকে ছাপ দেওয়া ব্যালট পেপার। ভোট লুটের পর ন্যক্কারজনকভাবে লুট হয়েছে ভোটদাতাদের রায়ও। ফল প্রকাশে সিপিআই(এম) প্রার্থীরা এগিয়ে যাওয়ার পর জোর করে হারিয়ে দেওয়ার ঘটনা তো আছেই। ভোট গণনায় জয়ী হওয়ার পরও বিজয়ীদের হাতে দেওয়া হয়নি জয়ের শংসাপত্র। এবার ব্যালট উদ্ধার হল হুগলির পান্ডুয়ায়। গণনা কেন্দ্রের পিছনে যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ব্যালট পেপার। পূর্ব বর্ধমান হাওড়া হুগলি সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতে ভোট গণনার পর রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা ব্যালট উদ্ধার হয়। হুগলির জাঙ্গীপাড়ায় ব্যালট নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারকে ডেকে জবাব চেয়েছে আদালত। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গণনাতে কারচুপি হয়েছে তারই প্রমান এই ভাবে ভোট গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে ছাপমারা ব্যালট উদ্ধার হওয়া।
পান্ডুয়া ব্লকের ভোট গণনা হয়েছিল বৈঁচির একটি বেসরকারি কলেজে। সোমবার সকালে সেই কলেজের পিছন দিকেই ব্যালট ছড়িয়ে পরে থাকতে দেখা যায়। পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯ নম্বর বুথের ব্যালটে সিপিআই(এম) এবং বিরোধী প্রতীকে ছাপ মারা রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন সিপিআই(এম)’র নেতৃত্ব ও কর্মীরা।
সিপিআই(এম) নেতা প্রদীপ সাহা অভিযোগ করেন, গোটা রাজ্যের মত পান্ডুয়াতেও ব্যালট পাল্টে দেওয়া হয়েছে। সন্দেহ হচ্ছে পঞ্চায়েতের তিনটে স্তরের ব্যলটি এখানে হয়তো ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল। এই ফাঁকা মাঠে কি ভাবে ব্যালট এলো সেটা বিডিও বলতে পারবেন। সারা রাজ্যে জুরে এমন ঘটনা ঘটছে। যে ব্যালট সিল বন্দি থাকার কথা তা মাঠে পরে আছে। যার দায়িত্ব এটা রক্ষা করা তাকেই এই ঘটনার উত্তর দিতে হবে। যারা কাগজ কুড়োতে আসে তারা বেশ কিছু ব্যালট নিয়ে গেছে।
Comments :0