পুরুলিয়ার জয়পুরের আঘরপুরের গ্রামে ঢুকতে বাঁধা সারা ভারত গনতান্ত্রিক মহিলার সমিতির প্রতিনিধি দলকে। শনিবার জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়ার এই গ্রাম।
১৭ একর খাস জমি চিহ্নিত করে সেখানে কারখানা তৈরি হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি ওই এলাকায় কারখানা হলে সেখানকার পরিবেশের ক্ষতি হবে। শনিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমিতে পাঁচিল দিতে গেলে বাঁধা দেন গ্রামবাসীরা। দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষ বাঁধে দুই পক্ষের মধ্যে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা শিশু সহ ১৩কে আটক করা হয়েছে।
প্রশাসনের অভিযোগ যারা পুলিশকে আক্রমণ করেছে তাদের চিহ্নির করেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা ঝামেলা থামানোর চেষ্টা করছিলেন। সূত্রের খবর আটক হওয়া ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আইনী দোহাই দেখিয়ে কনীনিকা ঘোষ, অঞ্জু কর, দেবলীলা হেমব্রম, সোমা দাস, জাহানারা খানদের গ্রামে ঢোকা থেকে আটকায় পুলিশ। কনীনিকা ঘোষ বলেন, ‘আমরা আক্রান্তদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। তাদের সাথে কথা বলতে চাইছি। পুলিশ আইনী অজুহাত দেখিয়ে যেতে দিচ্ছে না। আমরা তো সেখানে কোন ঝামেলা করতে যাচ্ছি না।’
মহিলা এবং শিশুদের গ্রেপ্তারির বিষয় প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন নেতৃত্ব। এদিন গ্রামে ঢুকতে না পারায় জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় মহিলা নেতৃত্ব।
Comments :0