Protest in Cooch Behar

স্মার্ট মিটারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কোচবিহারে

জেলা

Protest in Cooch Behar

একদিকে বিদ্যুতের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে গ্রাহকদের স্মার্ট প্রিপেড মিটার লাগিয়ে নতুন কায়দায় ব্যাপক হারে মাশুল আদায়ের চেষ্টা। প্রতিবাদে কোচবিহার রিজিওনাল ম্যানেজারের দপ্তরে বিক্ষোভ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি প্রতি গ্রাহকের বাড়িতে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানোর প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ শিল্পে স্মার্ট মিটার বসানোর চুক্তি হয়েছে এক বেসরকারি সংস্থার সাথে। এর ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ওপর বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপতে চলেছে এবং এর পাশাপাশি ঠিকাদারী সংস্থার বাড়তি মুনাফার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার পাশাপাশি কোন অবস্থাতেই বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বাড়িতে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো যাবে না, এই দাবি সহ বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে সোমবার রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির কোচবিহার রিজিওনাল ম্যানেজারের দপ্তরে বিক্ষোভ সভায় সামিল হলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ শিল্প সহায়ক কর্মী ইউনিয়ন।


সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জিতেন নন্দী সহ সিআইটিইউ কোচবিহার জেলা সভাপতি তারিণী রায় প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন বিনয় ভূষণ দে। ছিলেন সিআইটিইউ নেতা কাঞ্চন ঘোষ বিদ্যুৎ কর্মচারী আন্দোলনের নেতা, রাজদীপ কেওট প্রমূখ। 
নেতৃত্ব বলেন, বিদ্যুৎ বিল সংসদে পাস না করিয়ে স্মার্ট মিটারিং এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ শিল্পকে ঘুরপথে বেসরকারিকরণ করতে চাইছে সরকার। এই স্মার্ট মিটারিং চালু হলে সাধারণ মানুষ ক্রমশ বিদ্যুৎ ব্যবহারের অধিকার হারাবেন। রান্নার গ্যাসের মতো বিদ্যুতেও ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। চাষের কাজে বিদ্যুৎ অনিয়মিত হয়ে পড়বে এবং কৃষকদের বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। ক্রমান্বয়ে গ্রামীণ ভারত হয়ে পড়বে অন্ধকারচ্ছন্ন। বিদ্যুৎ শিল্পে কর্মরত স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীরা তাদের কাজের নিরাপত্তা হারাবেন। তাই অবিলম্বে এই প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে তুলেছেন তারা।

Comments :0

Login to leave a comment