সাম্প্রতিক সময় ইউক্রেনে সবথেকে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো রাশিয়া। সোমবার গভীর রাতে ইউক্রেনের সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আছড়ে পরে শতাধিক রুশ মিসাইল।
ইন্টেল স্লাভা জেড, স্লাভিয়ানগ্রাড সহ রুশপন্থী টেলিগ্রাম চ্যানেল গুলির দাবি, ১৭টি টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান থেকে ১১২ টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। এছাড়াও ক্যাস্পিয়ান সাগরে মোতায়েন রুশ নৌবহর এর ১৭টি জাহাজ এবং সাবমেরিন থেকেও মিসাইল হামলা চালানো হয়।
এদিনের আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের নিপ্রোপেট্রোভস্ক প্রদেশের প্যাভলোগ্রাড শহর। মূলত এই শহর থেকেই ডনবাস অঞ্চলের বাখমুট, আভিডিভকা প্রভৃতি শহরে সেনা ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠিয়ে থাকে ইউক্রেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলিতে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করছেন, প্যাভলোগ্রাডে ইউক্রেনের ১৬ টির বেশি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী সিস্টেম ধ্বংস করেছে রাশিয়া। প্রসঙ্গত এস-৩০০ সিস্টেম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি, প্যাভলোগ্রাড শহরের একটি রসায়নিক কারখানাতেও মিসাইল হামলা চালানো হয়। স্লাভিয়ানগ্রাডের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই কারখানায় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ মজুদ ছিল। মিসাইল হামলায় সেই মজুদ অস্ত্র ভান্ডার ধ্বংস হয়েছে।
নিপ্রোপেট্রোভস্কের পাশাপাশি খারকিভ অঞ্চলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলে। ইউক্রেনের রাজধানী কিভ শহরেও বেশ কয়েকটি মিসাইল এবং ড্রোন আছড়ে পড়েছে বলে খবর।
রাশিয়ার দাবি, এই অভিযান চলাকালীন ড্রোন এবং বিমানের মাধ্যমে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিল মার্কিন সেনা। বিমানের যাত্রাপথের ম্যাপ দেখিয়ে রাশিয়ার দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলার সময় রোমানিয়ার আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে মার্কিন নৌ সেনার একটি আর-৮এ পোসাইডন বিমান এবং একটি গ্লোবাল হক ড্রোন।
এ দিনের হামলার ফলে গোটা ইউক্রেন জুড়ে দেড় ঘন্টার বেশি সময় ধরে লাল সতর্কতা জারি ছিল।
অপরদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ভ্যালেরি ঝালুঝনাই জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নানা স্থান লক্ষ্য করে মোট ১৮ টি ক্রুজ মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ১৫ টি মিসাইলকেই মাঝ আকাসে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে।
Comments :0