Viswa bharati

বিশ্বভারতীতে গেরুয়াকরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত, সেমিনার হলে বিক্ষোভ এসএফআইয়ের

রাজ্য

এসএফআই এবং বিজেপির সংঘাতকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার  বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ লিপিকা পেক্ষাগৃহে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এই আলোচনা সভা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজন করছে বিজেপির সাথে যুক্ত একটি সংগঠনের সাথে। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে সাথে নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে স্পষ্ট উল্লেখ আছে তারা বিজেপির সাথে যুক্ত, এছাড়াও এই সংগঠনের চেয়ারম্যান সহ অধিকাংশ ট্রাস্টি মেম্বাররা সরাসরি বিজেপির সাথে যুক্ত। 

এদিন সভা শুরু হওয়ার আগে সভাকক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এসএপআই কর্মী সমর্থকরা। নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে হাতাহাতি হয় তাদের। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অনির্বান গাঙ্গুলি ভিতরে ঢুকতে গেলে তাকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ।

এসএফআইয়ের দাবি বিশ্বভারতীকে আবারও সাম্প্রদায়িকত রাজনীতির চর্চাক্ষেত্র বানানো জাবে না। সাম্প্রদায়িক বিজেপির সাথে সম্পর্ক যুক্ত এই সংগঠনের সাথে যৌথ ভাবে এই আলোচনা সভা হতে দেওয়ার অর্থ আবারও বিশ্বভারতীকে আরএসএসের মুক্তাঞ্চলে পরিনত করার পরিকল্পনা। বাধা পেরিয়ে সভা কক্ষের ভিরতে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। স্লোগান ওঠে ‘রবীন্দ্রনাথের মাটিতে বিজেপি আরএসএস এর ঠাই নাই।’ 

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীকে দীর্ঘদিন ধরেই আরএসএস'র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গবেষণাগার বানানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আজ লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বিজেপি'র সাথে সংযুক্ত একটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে দিয়ে আলোচনা সভা করানোটা সেই পরিকল্পনারই অংশ। ছাত্রছাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বয়কট করেছে প্রোগ্রাম, ঘেরাও করেছে কর্তৃপক্ষকে। বিশ্বভারতীর মাথাদেরও বুঝতে হবে, এ মাটি রবি ঠাকুরের ঐক্য সম্প্রীতির মাটি, শ্যামাপ্রসাদের বিভাজনের মাটি নয়! সমস্ত শক্তি দিয়ে আরএসএস'কে রুখতে হবে ক্যাম্পাসের বুকে।’’

২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর বাংলা ভাষা সহ মারাঠি, অসমিয়া, পালি ও প্রাকৃত ভাষাকে 'ধ্রুপদী' ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ফলে এই ভাষাগুলি কিভাবে সমৃদ্ধ হবে তা নিয়ে এদিন বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্বভারতীর ভাষা বিভাগ ও নতুন দিল্লির শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশন। 

এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা তথা বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছাতেই তাঁকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই সমর্থিত বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা৷ বাঁধা দেয় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা৷ আর এতে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পড়ুয়া ও নিরাপত্তারক্ষীদের৷ এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী।

Comments :0

Login to leave a comment