১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্প গুলোর জন্য ভারতে শ্রমিকদের মধ্যে কাজে অনীহা তৈরি হয়েছে দাবি করলেন লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম ।
মঙ্গলবার চেন্নাইতে সিআইআই-এর মিস্টিক সাউথ গ্লোবাল লিঙ্কেজ সামিট ২০২৫ এ বক্তৃতা করার সময় সুব্রহ্মণ্যন বলেন, নির্মাণ শিল্পের জন্য শ্রমিক পাওয়া কঠিন কারণ তারা নিজদের শহর থেকে অন্যত্র যেতে অনিচ্ছুক। তিনি বলেছিলেন যে মনরেেগা এবং জন ধন যোজনার মতো প্রকল্পগুলি সম্ভবত শ্রম সংহতিকে প্রভাবিত করে।
তার কথায়, ‘শ্রমিকরা সুযোগের জন্য অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছুক নয়। হয়তো তাদের স্থানীয় অর্থনীতি ভালো চলছে, হতে পারে এটি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কারণে।’
তার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট তিনি দেশের শ্রমিক, কৃষক, খেত মজুরদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। ১০০ দিনের প্রকল্প থাকলেও রেগায় এবার একটিও টাকা বরাদ্দ বাড়ায়নি সরকার। উল্টে এই কাজ নিয়ে চলছে দুর্নীতি। কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না অনেকে।
সুব্রহ্মণ্যন আরও বলেছেন যে ভারত অভিবাসনের অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি, এলএন্ডটি-র মতো সংস্থার জন্য চার লক্ষ কর্মী প্রয়োজন, কিন্তু ১৬ লক্ষ লোক নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি মুদ্রাস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য মজুরি সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তাও আছে বলে মনে করেছেন। উল্লেখ করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্য ভারতীয়রা কাজে যাচ্ছেন কারণ সেখানে ভারতের থেকে ৩.৫ গুণ বেশি বেতন।
লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান গত মাসে বলেছিলেন যে তিনি চান তার কর্মীরা রবিবারেও কাজ করুক। তিনি বলেন, ‘আপনি বাড়িতে বসে কি করেন? আপনি কতক্ষণ আপনার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন? আসুন, অফিসে যান এবং কাজ শুরু করুন।’ সপ্তাহে ৯০ ঘন্টা কাজের নিদান দিয়েছিলেন তিনি। তার কথায় রবিবারও তিনি ছুটিতে থাকেন না। এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
আদর পুনেওয়ালা, আনন্দ মাহিন্দ্রা এবং আইটিসি-র সঞ্জীব পুরীর মতো অনেক শিল্পপতি উৎপাদনশীলতার জন্য কর্ম-জীবনের ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে কথা বলেন। সমালোচনা করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নও।
Comments :0