Snow Leopard

নেপালের খুম্বু হিমবাহে লেন্সবন্দী দুর্লভ তুষারচিতা

আন্তর্জাতিক

তুষার আচ্ছাদিত পাহাড়ে তুষার চিতা প্রতিটি মানুষের শৈশবের স্বপ্নের ছায়া হয়ে থেকেছে, যারা ছোটবেলায় গল্পের বইতে এই দুর্লভ শ্বাপদ সম্পর্কে পড়ে কেবল তার ছবিটুকুই কল্পনা করেছে।
এবার সেই কল্পনার চিত্রকেই লেন্সবন্দী করলেন মার্কিন বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার কিত্তিয়া পাওলোস্কি (Kittiya Pawlowsky).  সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে সেই সুন্দর ছবিটি নিয়ে এসেছেন তিনি।  একটি তুষার-ঢাকা পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকা একটি তুষার চিতার (Snow Leopard) একটি মন্ত্রমুগ্ধকর ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
তুষারাবৃত শৃঙ্গের উপর  পূর্ণিমার রাতের মায়াবি আলো সহ সুন্দর ছবিটি দুনিয়া জোড়া নেটিজেনদের বাকরূদ্ধ করে দিয়েছে।


নেপালের খুম্বু হিমবাহের ‘ফ্যান্টম অ্যালি’-তে (Phantom Alley) বরফে মোড়া চূড়ায় ধরা দিয়েছে তুষারচিতা। তার ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে কিট্টিয়া লিখেছেন ‘‘বিশ্বের দুর্লভ শ্বাপদ-তুষারচিতা।’’ এই বিরল প্রাণীর ছবি ক্যামেরাবন্দি করার জন্য তাঁকে প্রায় ১৬৫.৭ কিমি পথ ব্যাকপ্যাক নিয়ে ট্রেকিং করতে হয়েছে৷
‘‘একটি তুষার চিতা ফ্যান্টম অ্যালি নামক বরফের চূড়ার উপরে একটি খাদের উপরে বসে আছে। ৯ অক্টোবর, পূর্ণিমার আলো বরফাবৃত হিমালয়ের চূড়াগুলিকে ভুতুড়ে আলোয় ধুয়ে দিচ্ছে, আলোর প্রয়োজনীয়তা দূর করে। রাতারাতি, সূক্ষ্ম তুষার কণার ঝাপটা বাতাসে ভরে যাচ্ছে, আমার স্লিপিং ব্যাগ বরফের কণায় ভিজে যাচ্ছে। তুষার চিতাগুলি ভোর এবং সন্ধ্যার আশেপাশে সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। ভোর ৪টার দিকে আমি আমার জুতো পড়ে বেরোই। সেই সময় ঠান্ডা, কল্পনাতীত সৌন্দর্য ছিল। ২৫ পাউন্ড ওজনের ক্যামেরা সরঞ্জাম নিয়ে, আমি গোরাক শেপের (Gorak Shep) উত্তর-পূর্ব দিকে চলে গেলাম এবং একটি বরফাবৃত হৃদ অতিক্রম করলাম। তুষারময় পাহাড়ের ঢালগুলি এমনভাবে চিকচিক করছে যেন সেগুলি হীরে দিয়ে তৈরি।’’ তিনি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন।
আরেকটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, পাওলোস্কি মাউন্ট এভারেস্ট এবং মাউন্ট পুমোরির মধ্যে তুষারে চিতার অত্যাশ্চর্য ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে, তিনি বলেছেন যে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের কাছে গোরকশেপ এলাকায় প্রায় ১৮,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে বন্য বিড়ালটির ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ছবিটি শেয়ার করার পর থেকেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। অ্যানিমাল প্ল্যানেটের (Animal Planet) মতো চ্যানেল এবং নেপালে মার্কিন দূতাবাসের মতো সরকারী সংস্থাগুলিও সেগুলি আবার শেয়ার করছে।  সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে কমেন্ট বিভাগে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তার ছবিগুলিকে "শ্বাসরুদ্ধকর" এবং "অত্যাশ্চর্য" বলে অভিহিত করেছেন।

Comments :0

Login to leave a comment