প্যালেস্তাইনে গণহত্যা বন্ধ করতে নির্দেশ দিতে হবে ইজরায়েলকে। এই মর্মে দায়ের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি শুরু করল আন্তর্জাতিক আদালত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আইনি শাখায় মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুনানির আগে নেদারল্যান্ডসের হেগে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’-র ভবনের সামনে শান্তির দাবিতে হয়েছে বিক্ষোভ।
আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার রায় বের হওয়া সময় সাপেক্ষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বোমাবর্ষণে সাময়িক বিরতির নির্দেশ আদালত মনে করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারে। তবে তাতে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত নয়। কারণ রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতোই এই আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে রায় কার্যকর করার মতো সরঞ্জাম নেই।
প্যালেস্তাইনের তরফে জানানো হয়েছে টানা বোমাবর্ষণ এবং তারপর জমিতে ঢুকে পড়ে গোলাবর্ষণে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। অর্ধেকের বেশি মহিলা এবং শিশু। শুনানির সময়েই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখানো হবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সওয়ালে আন্তর্জাতিক আদালতে বলা হয়েছে, ‘‘ইজরায়েল নাগরিকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে টানা। বন্দিদের হত্যা করা হচ্ছে। পড়ে থাকা লাশের ছবি দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন সাধারণ নাগরিকদের উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বোমায়।’’
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ‘‘হাজার হাজার পরিবারের কয়েক প্রজন্মকে একসঙ্গে বসতি থেকে উতখাত করা হয়েছে। প্যালেস্তাইনের জনজীবন ধ্বংস করছে ইজরায়েল। কোনোটাই যুদ্ধের মধ্যে আচমকা হয়ে যাচ্ছে না। পরিকল্পনা করে গণহত্যা চলছে নাগরিকদের। কাউকে ছাড়ছে না ইজরায়েলের সেনা। এমনকি সদ্যোজাত শিশুদেরও নয়।’’
হেগে বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক সারা রাশদান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘সারা বিশ্ব প্যালেস্তাইনের সংহতিতে মিছিল করছে। আজ না হোক কাল, গণহত্যা বন্ধ হবে, আমরা আশা রাখছি। আশা করছি, প্যালেস্তাইনের জমিতে সাত দশকের বেশি সময় ধরে চলা ইজরায়েলের দখলদারিও বন্ধ হবে।’’
আন্তর্জাতিক আদালত শুনানির পর বিচার করবে গণহত্যা রোধে আন্তর্জাতিক সমঝোতা ইজরায়েলের কার্যক্রমে প্রয়োগ করা যাবে কিনা।
Comments :0