Gyanvapi Mosque

এএসআইয়ের বৈঞ্জানিক সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

আর্কেওলজিক্যাল সার্ভেও ওফ ইন্ডিয়া (ASI) বা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ  জ্ঞানবাপীর বৈঞ্জানিক পর্যবেক্ষণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের অদুরে এই মসজিদের কোন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করতে পারবে না এএসআই। মসজিদ পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রকে জানান যে সমীক্ষার ফলে ঐতিহাসিক মসজিদ চত্বরে খনন কাজ চলতে পারে যা তার ঐতিহাসিক কাঠামোয় আঘাত আনতে পারে।
কেন্দ্র অবশ্য আদালতকে আশ্বস্ত করেছে যে জরিপ কোনও ভাবেই কাঠামোর পরিবর্তন করবে না। 
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান যে সমীক্ষায় শুধুমাত্র পরিমাপ, ফটোগ্রাফি এবং রাডার স্টাডি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কেন্দ্রের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘মসজিদ চত্ত্বরে পুরাতত্ত্ব বিভাগ কোন খনন কার্য করবে না বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে আগামী ২৬ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত জ্ঞানবাপী মসজিদে কোন সমীক্ষা চালাতে পারবে না।’’ এই সময়ের মধ্যে এলাহাবাদ হাই কোর্টের দারস্থ মসজিদ পরিচালন হতে পারবে বলে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

২০২১ সালে হিন্দু নারীদের একটি দল জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দু দেবতাদের পূজো করার অনুমতির জন্য উত্তর প্রদেশের একটি আদালতের কাছে যাওয়ার পরে মামলা হয়।  হিন্দুত্ববাদীদের দাবি মসজিদের অজুখানায় যেই পাথরটি রয়েছে তা ফোয়াড়া নয়, তা শিব লিঙ্গ। 
বাবড়ি মসজিদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরপরই আরএসএস সহ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় বলা হয় যে তাদের পরবর্তী লক্ষ কাশি। বাবড়ি মসজিদ ধ্বংসের সময় বিজেপি আরএসএস স্লোগান তোলে ‘‘ইয়ে তো স্রিফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশি মথুরা বাকি হ্যায়।’’ 
এর আগে আদালতের নির্দেশে যখন মসজিদের ভিডিওগ্রাফি হয় তখন অজূখানার পাথরের ভিডিও আদালতের কাছে জমা পড়ার আগেই বাইরে চলে আসে। সেই নিয়ে বিতর্কও হয়।

Comments :0

Login to leave a comment