স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যেই তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা সবাই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। সোমবার সকালে তাদের আদালেত পেশ করা হয়েছে জয়নগর থানার পক্ষ থেকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানো সহ একাধিক দারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন সকালে আক্রান্ত আমরার প্রতিনিধি দলকে দলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এর আগে সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি, শমীক লাহিড়ী, সুজন চক্রবর্তীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল এবং নওশাদ সিদ্দিকীকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রবিবার সিপিআই(এম)’র একটি প্রতিনিধি দল দলুয়াখাকি গ্রামের আক্রান্তদের জন্য ত্রান নিয়ে গেলে তাদের ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়। পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়ে ফিরে আসতে হয় প্রতিনিধি দলকে। সোমবার হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিসন বেঞ্চে বাঁধা দেওয়ার প্রসঙ্গে মামলা দায়ের করা হয়েছে সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে। হাই কোর্টের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিপিআই(এম) নেতৃত্বের অভিযোগ ১৪৪ ধারা ছাড়াই পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে গ্রামে যেতে।
পুলিশের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মুহুর্তে ত্রান পাঠানো হচ্ছে আক্রান্তদের জন্য। কিন্তু পুড়ে যাওয়া ঘর গুলোর জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয় কোন জবাব নেই প্রশাসনের কাছে।
আক্রান্ত আমরার পক্ষ থেকে অরুনাভ গাঙ্গুলি জানান, ‘‘গোটা গ্রাম ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছ না। প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি ফোনে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলেননি। কোন আইনে আটকানো হচ্ছে তাও তারা দেখাতে পারেনি।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেনও তাদের সাথে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টা জানেন। আক্রান্ত আমরার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হবেন। আক্রান্ত আমরার প্রতিনিধি দলে ছিলেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র, অরুনাভ গাঙ্গুলি(আহ্বায়ক), প্রমিলা রায় বিশ্বাস, অরুণিমা পাল, রঞ্জনা হাজরা, আলোক প্রামাণিক, মৌসুমী ঘোষ দাস।
Comments :0