Bhangor

জয়ী প্রার্থীকে জোর করে হারালো তৃণমূল
প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালালো পুলিশ

রাজ্য পঞ্চায়েত ২০২৩

গায়ের জোর জিতেই হবে। পঞ্চায়েত দখলে রাখতে হবে কোটি কোটি টাকা চুরি করার জন্য। তাই ভাঙড়ে জেলা পরিষদের একটি আসনে আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুন জয়ী হলেও তাকে জোড় করে হারানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে আইএসএফের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর ৮৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে আইএসএফ প্রার্থী জয়ী হলে পুনগণনা করিয়ে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। আরাবুল ইসলাম এবং তার ছেলে হাকিমুল ইসলাম প্রশাসনের ওপর চাপ দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।


আইএসএফ প্রার্থীকে জোড় করে হারানোর প্রতিবাদে কাঁঠালিয়া স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইএসএফ কর্মীরা। বিক্ষোভ চলাকালিন বারুইপুর জেলা পুলিশের একটা বড় অংশ সাধারণ মানুষের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হন। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ পুলিশের সাথে রাতের অন্ধকারে ভিড়ে মিশে যায় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ করে গুলি চালায় তারা। দুজন আইএসএফ কর্মী এবং একজন সাধারণ মানুষ গুলির আঘাতে নিহত হয়েছেন।


নিহত দুই আইএসএফ কর্মীর পরিবারের দাবি যারা গুলি চালিয়েছে তারা তৃণমূল বিধায়ক সওকাত মোল্লা এবং আরাবুল ইসলামের লোক। সওকাত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি আইএসএফ কর্মীরা গুলি চালিয়েছে। 
উল্লেখ্য শুধু ভাঙড় নয়। গোটা রাজ্যের সব গণনা কেন্দ্রে সিপিআই(এম), কংগ্রেস এবং আইএসএফের জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের রায়কে অমান্য করে গায়ের জোড়ে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জয়ী বলে ঘোষনা করছে তৃণমূল। 
এদিন সকালে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার করেছে বোম স্কোয়াডের লোকেরা।

Comments :0

Login to leave a comment