ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার পর অবশেষে সন্দেশখালির ঘটনায় দুজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করলো ন্যাজাট থানার পুলিশ। ধৃতরা মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সর্দার। ন্যাজাটের একটি মেছোঘেরির আলাঘর থেকে নদী বাঁধ দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি থমাস কে সংবাদমাধ্যমকে জানায় ধৃতরা ঘটনার দিন সরাসরি হামলায় যুক্ত ছিল। ধৃতদের এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ৩দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত। কিন্তু ঘটনার সাতদিন কেটে গেলেও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এদিন সন্দেশখালির দুই তৃণমূল কর্মীর গ্রেপ্তারী নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ৫ জুন রেশন দুর্নীতি কান্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গেলে কয়েক হাজার সশস্ত্র তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়। ইডি আধিকারীক ও সংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে সন্দেশখালির মানুষের বক্তব্য ঘটনার দিন সামনের সারিতে থেকে দুষ্কৃতীবাহিনীর নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে সন্দেশখালি - ১নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সবিতা রায় ও সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শাহজাহানের ছায়াসঙ্গী জিয়াউদ্দিন মোল্লা। তারা তো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? আসলে সবটাই আই ওয়াশ।
সন্দেশখালির ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতা নিরাপদ সর্দার একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন হামলার সময় সামনের সারিতে থেকে যেমন সরবেড়িয়া আগারহাটি পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা ও সন্দেশখালি ১নং পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতি সবিতা রায় ছিলেন তেমনি ঘটনার সময় সামনের সারিতে থেকে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন সন্দেশখালি ১নং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অপর্না হালদার। তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে এদিন দাবি তোলেন নিরাপদ সর্দার।
Sandeshkhali
সন্দেশখালির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই
×
Comments :0