নোটিশে ইউজিসি জানিয়েছে, ‘‘প্রতিষ্ঠানের তরফে এমফিল ডিগ্রিকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে নতুন করে এমফিল ডিগ্রির জন্য আবেদনপত্র জমা নিচ্ছে। আমরা পড়ুয়াদের এই বিষয়ে সতর্ক করছি।’’
ইউজিসি’র নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘নতুন করে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমফিলের জন্য আবেদন পত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমরা স্পষ্ট করতে চাই, যে এমফিল আর স্বীকৃত ডিগ্রি নয়। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর ইউজিসি’র তরফে পিএইচডি’তে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার নির্দেশিকা প্রকাশিত হয় গ্যাজেট অফ ইন্ডিয়ায়। গেজেট বিজ্ঞপ্তির ১৪ নম্বর রেগুলেশনে এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এমফিল ডিগ্রি প্রদান করবে না।’’
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘ ইউজিসি’র স্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরেও এমফিলের আবেদনপত্র জমা নেওয়া চলছে। অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলিকে আবেদন জানাচ্ছি।’’
একইসঙ্গে পড়ুয়াদের ‘সতর্ক’ করে বলা হয়, ‘‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা এমফিল ডিগ্রিতে ভর্তি হবেন না।’’
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বা এনইপি চালুর পরে ইউজিসি’র তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, পিএইচডি’তে ভর্তির ক্ষেত্রে আর এমফিল ডিগ্রির কোনও গুরুত্ব থাকবে না। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমফিল ডিগ্রি বন্ধ করার নির্দেশ গিয়েছিল দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। কিন্তু সেই নির্দেশে যে কাজ হয়নি, তা এদিনের নির্দেশিকা থেকেই স্পষ্ট।
এই প্রসঙ্গে এসএফআই’র সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্র গবেষণামূলক চেতনার বিরোধী। এনইপি এনে গবেষণাটাকেই তুলে দিতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকার চায়, মানুষ বিশ্লেষণ, প্রশ্ন ইত্যাদি করা বন্ধ করে দিক। সেই জন্যই ধাপে ধাপে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’’
Comments :0