গত শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন বেলাগাম হিংসা চালিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনের একটা অংশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন সেই বিষয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি কমিশন। সেলিম বলেন, ‘‘কালীঘাট এবং ক্যামাক স্ট্রিটের কথায় বহু এসপি, ডিএম, বিডিওরা চলছেন। যেখানে যেখানে মনোনয়ন কেন্দ্রে অশান্তি হচ্ছে সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কালীঘাট, ক্যামাক স্ট্রিটের কথায়। এই ব্যাপক সন্ত্রাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে যারা আমাদের সমর্থন করেছেন তাদের কুর্নিশ জানাই।’’
সেলিম অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে অমান্য করে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ফলাফল বদল করাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সোনারপুরে তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে সিপিআই(এম)’র জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। উত্তর দিনাজপুরে করনদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল গননা কেন্দ্রে বসে ফলাফল প্রভাবিত করছে।’’ সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘জয়ী প্রার্থীদের কাছ থেকে শংসাপত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল যখন দেখছে যে ওরা হারছে তখন প্রিসাইডিং অফিসারের সই না করা ব্যালট পেপারকে জোর করে গণনা করাচ্ছে, না হলে সিপিআই(এম)’র ব্যালট ফেলে দিচ্ছে, যেটা বালিতে হয়েছে।’’
সোমবার রাজ্যে ৬৯৬ টি বুথে পুননির্বাচন হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন সেলিম বলেন, ‘‘যেখানে ভোট লুঠ হয়েছে সেখানে পুননির্বাচন হয়নি। কালিঘাট থেকে যেই তালিকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ভোট হয়েছে। তৃণমূল, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন একদিকে অন্য দিকে বাংলার সাধারণ মানুষ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল চায় লুঠেরাদের রাজ যাতে বজায় থাকে অন্যদিকে আমাদের লক্ষ বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এই লড়াই চলবে। যতদিন না পর্যন্ত মাফিয়া রাজ শেষ হচ্ছে ততদিন লড়াই চলবে।’’
Comments :0