Brigade Rally

ব্রিগেডের সমর্থনে চলছে প্রচার জেলায় জেলায়

রাজ্য জেলা

রহিমাবাদ চা বাগানে জমায়েত।

কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী নীতি, বৃহৎ পুঁজিপতি এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির অশুভ আঁতাত এবং রাজ্য সরকারের জনবিরোধী, স্বৈরতান্ত্রিক নীতি, দুর্নিতির বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র রক্ষা করতে ২০ এপ্রিল ২০২৫ ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষকসভা, খেতমজুর ইউনিয়ন ও বস্তি উন্নয়ন সমিতি। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তির মানুষের দাবিকে সামনে রেখে আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশের সফল করতে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় প্রচার চলছে। সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলার রহিমাবাদ চা বাগানের শ্রমিকরা ব্রিগেডের সমর্থনে বাগানের বিভিন্ন অংশে মিছিল করেন।
এদিন সভায় সিআইটিইউ নেতা বিদ্যুৎ গুন বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদার অর্থনৈতিক নীতি, শ্রমিক কৃষক সহ দেশের সব অংশের মানুষের উপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, শ্রমিক শ্রেণির অর্জিত অধিকার, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র ব্যাংক, বীমা, রেল, তৈল খনি, কয়লা, ইস্পাত, বিদ্যুৎ, বিমান ও স্থলবন্দর সহ যা কিছু সবটাই আক্রান্ত। দুই শাসকের অবহেলার ফলে আক্রান্ত চা শ্রমিকরা। তাদের নুন্যতম মুজুরি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রাচ্যুয়িটি, পি এফ, জমির অধিকার সবক্ষেত্র থেকে বঞ্চিত। গ্রামে কৃষি শ্রমিক ও ক্ষেত মজুরদের ন্যূনতম মজুরি না পাওয়া, দুর্নীতির কারণে রাজ্যে রেগার কাজ বন্ধ হওয়া, ৬০০ টাকা মজুরি ও ২০০ দিনের কাজের দাবি না মানা, বেকার যুবক-যুবতী, শ্রমিক কৃষক, খেতমজুর সহ জনজীবনে ভয়ঙ্কর সঙ্কট ডেকে এনেছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানকে আরও শক্তিশালী করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এদিন

ব্রিগেড সমাবেশের বার্তা কোচবিহার জেলার ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষক শ্রমিক, ক্ষেতমজুর ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গনকনভেন,বাড়ি বাড়ি প্রচার,লিফলেট বিলি,পাড়া বৈঠককে হাতিয়ার করে কৃষকসভা,সিআইটিইউ,ক্ষেতমজুর সংগঠন এখন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন প্রচারে শামিল হয়েছে।
কৃষক সভার জেলা সম্পাদক তমসের আলী সোমবার তুফানগঞ্জে বুথে বুথে গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জেলার ৬০ শতাংশ মানুষের কাছে আমাদের দাবি ও ব্রিগেড সমাবেশের বার্তা নিয়ে আমরা পৌঁছোনোর পরিকল্পনা নিয়েছি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর শুরু হবে শহরে গ্রামে মিছিল, জাঠা, পদযাত্রা। সোমবার শিতলকুচিতে গণকনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনন্ত রায়, হরিশ বর্মন, আকিক হাসান প্রমুখ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বক্সীরহাটে গণকনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। ব্লকের পর অঞ্চল কনভেনশন করবে ব্রিগেড সমাবেশের উদ্যোক্তারা।

আগামী এক মাস ব্যাপী বাড়ি বাড়ি প্রচার ও অর্থ সংগ্রহ পোস্টারিং দেওয়াল লিখন সহ বিভিন্ন রকম প্রচারমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার ও অর্থ সংগ্রহ করা হয় শহরের বিভিন্ন এলাকায়। পান্ডা পাড়া সংলগ্ন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বউবাজার, ২ নাম্বার ওয়ার্ডের ওয়াকারগঞ্জ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও অর্থ সংগ্রহের কর্মসূচি হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতৃত্ব গৌড় মোহন অধিকারী, শুভঙ্কর চ্যাটার্জী, বিকাশ বিশ্বাস, হরি রায়, হরিপদ চক্রবর্তী, বিপুল সান্যাল, শক্তি গোস্বামী সহ পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষ রক্ষার দাবিতে এবং তৃণমূলের লুটের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং রাজ্যের পরিবর্তন আনতে, খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে শ্রমজীবি মানুষের ডাকে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে সোমবার সিআইটিইউ’র উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি প্রচার হয় রামপুরহাট ১ ব্লকে।
এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচার হয় ওই ব্লকের ফরিদপুর, জয়রামপুর, মালসা গ্রামে। সেখানে বাড়ি বাড়ি প্রচার এবং তার সঙ্গে চলে গণঅর্থ সংগ্রহ। এই প্রচারে ছিলেন শ্রমিক নেতা অমিতাভ সিং, পলাশ মন্ডল, অজিত লেট, তপন লেট, তরুন লেট প্রমুখ। শ্রমিক নেতা অমিতাভ সিং বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নীতি গ্রহণ করছে। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সহ শ্রমজীবী মানুষ তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত হছেন। শ্রমিকদের আন্দোলন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার। আগামী আগামী ২০ এপ্রিল গ্রাম বাংলার শ্রমজীবী মানুষ ব্রিগেড সমাবেশে জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে। তারই প্রস্তুতি চলছে শহর থেকে গ্রাম সর্বস্তরে।

ব্রিগেড সমাবেশ বার্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত একাকার গ্রামে গ্রামে মিছিল,  ও প্রচার সভা হয়। সবং ব্লকের নওগাঁ গ্রামপঞ্চায়েতের বেলকি বাজার থেকে চুড়কা মোড় পর্যন্ত, গোপীগঞ্জ ও বেনাই গ্রামপঞ্চায়েত, দাসপুরের সরবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গ্রাম থেকে গ্রাম পদযাত্রা হয়। পদযাত্রা হয় কেশিয়াড়ীর গগনেশ্বর, শাববনী ১ নম্বর  গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের রসকুন্ডু জিপিতে  মিছিল সহ পদযাত্রা হয়। স্লোগান ওঠে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষায় ব্রিগেড সমাবেশে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। 
সোমবার ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করে তোলার লক্ষে নাইকুড়ি ব্লকের বিষ্ণুবার ২ অঞ্চলে যৌথ কনভেনশন ও মিছিল হল। ছিলেন অমল কুইলা, রঞ্জিত মাইতি, সৌমেস দে, নিমাই মেটিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment