India China Relation

মার্কিন আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সমন্বয়ের বার্তা চীনের

জাতীয় আন্তর্জাতিক

মার্কিন আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়তে হবে ভারত এবং চীনকে। 
শুক্রবার চীনের ন্যাশনাল পিপল্‌স কংগ্রেসের অধিবেশনে একথা বলেছেন চীনের বিদেশ মন্ত্রী ইয়াঙ ই। 
ওয়াঙের মন্তব্য, হাতি এবং ড্রাগন একই তালে নেচে উঠুক। ওয়াঙ বলেন, ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তৈরি চীন। তাঁর কথায়, এশিয়া মহাদেশের দুই শক্তিশালী দেশ যদি পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে তবে দক্ষিণ এশিয়ায় গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা ইতিবাচক বার্তা বহন করবে। 
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ভারত এবং চীন সহ একাধিক দেশের ওপর শুল্কের বোঝা বাড়িয়েছে। চীনও পাল্টা শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বস্তুত একাধিক দেশের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছে। চীন জানিয়েছে, কেবল শুল্ক বা বাণিজ্য নয়, যে কোনও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত দেশ।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, ট্রাম্পের নীতি মোকাবিলার পথ খুঁজতে চীন এবং ভারত কাছাকাছি আসবে। বস্তুত ডলার আধিপত্যের মোকাবিলার জন্য উত্থানশীল অর্থনীতির দেশগুলির জোট ‘ব্রিকস’ বিকল্প রাস্তা খোলা রাখার আলোচনাও করেছে। 
তবে চীনের বিদেশ মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ভারতের  থেকে।
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে ভারত সরকার চীনের সাথে সম্পর্কের জন্য ‘‘আরও অনুমানযোগ্য এবং ইতিবাচক পথ‘‘ তৈরির জন্য কাজ করছে। যার জন্য চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন ধর্মীয় স্থানগুলিতে যাত্রা পুনরায় শুরু করা, সরাসরি বিমান চলাচল এবং সাংবাদিকদের আদান-প্রদান শুরু করতে চলেছে ভারত। 
চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে ভারত এবং চীনের মধ্যে একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চীনের বক্তব্য, সীমান্ত সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, এর আগে লাদাখ সীমান্তে সেনা সরানোর সমঝোতা হয় দু’দেশের। উত্তেজনা প্রশমনের পক্ষেও বোঝাপড়া হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয় রাশিয়ার কাজানে।
এদিন চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ভাষণে সেই বৈঠকের উল্লেখ করেন ওয়াঙ। গত বছরের ২৩ অক্টোবরে ওই শীর্ষ বৈঠক থেকে বার্তালাপের একাধিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতেও সম্মত হয় দুই দেশ।  
তবে চীনকে কোণঠাসা করতে এশিয়ায় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন চার দেশের জোট ‘কোয়াড’-রও সদস্য ভারত।

Comments :0

Login to leave a comment