‘উন্নয়নে’র নামে বালি থেকে তোলা আদায়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত গ্রাম। দিনে দুপুরে মুড়ি , মুড়কির মত পড়েছে বোমা। সাদা ধোয়ায় ঢেকেছে গ্রাম। অবৈধ কারবারের সাথে বিন্দুমাত্র যোগহীন সাধারণ মানুষকে গ্রাস করেছে আতঙ্ক। বোমার আঘাতে পা উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কর্মী সেখ সাত্তার আলির বলে জানা গেছে গ্রাম সূত্রে। প্রতি ঘটনার মত এবারও জখম তৃণমূল কর্মীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনাস্থল সেই খয়রাশোল। যেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা গুণে শেষ করা যায় না। এবারের ঘটনা ঘটেছে ব্লকের কাঁকড়তলা থানার জামালপুর গ্রামে। এলাকায় অজয়ের পাড় জড়ে থাকা একের পর এক ঘাটের বালি থেকে ‘উন্নয়নে’র নামে তোলা আদায় প্রতিটা গ্রামের স্বাভাবিক চিত্র হয়ে উঠেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই তোলা আদায় নিয়ন্ত্রণ করে শাসকদলের স্থানীয় মাতব্বররা। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় নি। জামালপুর গ্রামে সেই ‘ষোলা আনা’ ভাগের মধ্যে আবার ভাগ বসাতে তৎপর হয়েছিল দলেরই অপর এক গোষ্ঠী। যা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। সোমবার রাত থেকেই শুরু হয় বোমাবাজি। মঙ্গলবার দিনের বেলা পর্যন্ত প্রকাশ্যেই চলে সেই বোমার মুহুর্মহু নিক্ষেপ। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উত্তেজনা এখনও বহাল আছে। গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রধানের গোষ্ঠীর সাথে বিবাদমান গোষ্ঠীর জেরেই এই উত্তেজনা। দুই গোষ্ঠীর একটির পেছনে মদত রয়েছে খয়রাশোলের জেলা পরিষদের সদস্যার স্বামী তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল হক কাদেরির, অপরটির পেছনে রয়েছেন স্বপন সেন বলেই গ্রামের চর্চায় উঠে এসেছে। যদিও উজ্জ্বল হক কাদেরি এই তত্ব অস্বিকার করে জানিয়েছেন, ‘‘বালি থেকে টাকা আদায় করার জন্য গ্রামের মুষ্টিমেয় কয়েকজন দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দলের কোনও যোগ নেই।’’ একই কথা বলেছে অপর গোষ্ঠীর স্বপন সেনও। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার সিপিআই(এম) নেতা শীতল বাউড়ির বক্তব্য, ‘‘গ্রামের গ্রামে লুটের কারবার চালাচ্ছে তৃণমূল। তার ফলে একের পর এক গ্রামে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।’’
Bombing in Birbhum
বীরভূমে বোমাবাজি পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর
![](https://ganashakti-new-website.s3.ap-south-1.amazonaws.com/24054/67ab5293a2c77_Khoirasole-bombing-1.jpg)
×
Comments :0