Beaten to Death Bijoygarh

পিটিয়ে খুন ‘অনিচ্ছাকৃত’! বিজয়গড়ে হত্যাকাণ্ডে প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তীর

কলকাতা

কারা পিটিয়ে হত্যা করেছে না বোঝার কারণ নেই। সিসিটিভি ফুটেজে তা ধরা পড়বে। তা’হলে ক্যাব চালককে পিটিয়ে হত্যার পরও কেন অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের করবে পুলিশ?
বিজয়গড়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শনিবার এই প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। 
গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিবাদ। সেই বিবাদ থেকে পিটিয়ে মারা হলো যুবককে। ঘটনা ঘটেছে যাদবপুরের বিজয়গড় এলাকায়। এলাকাবাসীদের দাবি নিহত জয়ন্ত সেন পেশায় ক্যাব চালক। 
চক্রবর্তী বলেছেন, বিজয়গড়ের ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতার হাল কত খারাপ। তিনি বলেন, অ্যাপ ক্যাব চাললকে পিটিয়ে খুন করা হলো। তারপর অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা? পিটিয়ে খুন ‘অনিচ্ছাকৃত’ হয়?
বিজয়গড়ে লালকার মাঠের কাছে বাড়ির সামনে গাড়ি রাখার সময় একটি স্কুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ক্যাব চালক জয়ন্ত সেনের। তার জেরেই বিবাদ হয়। 
পুলিশ সূত্রে খবর গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে তাঁর বাড়িতে এসে চড়াও হয় একদল যুবক। বাড়ি থেকে তাকে বাইরে রেব করে এনে বেপরোয়া মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। 
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে মাটিতে ফেলে চার পাঁচজন মিলে মারধর করছে জয়ন্তকে। পরিবারের দাবি ওই যুবক এবং তার সঙ্গীরা মদ্যপ অবস্থায় তাদের বাড়িতে চড়াও হয়। ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করা হয় জয়ন্তর কাছে। জয়ন্ত সেই টাকা দিতে রাজি হলেও চলতে থাকে আক্রমণ।
আহত অবস্থায় বুধবার রাতে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জয়ন্তকে। শনিবার দেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে পেটে তার একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 
চক্রবর্তী বলেন, কোন পাঁচজন খুনের সঙ্গে জড়িত সবাই জানে। তারপর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা কেন? 
যাদবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক এবং কলকাতা কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চক্রবর্তী। চক্রবর্তী বলেছেন, বিষয়টিকে তালগোল পাকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন কাউন্সিলর এবং বিধায়ক? সত্য সামনে আনতে হবে। অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। 
এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে  ডেকেছে যাদবপুর থানা। গাড়ি চাপা দেয়নি, তৃণমূলের এমন দাবির পেছনে মিথ্যা ফাঁস করতে গত পরপর একাধিক ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন সৃজন। তারপরই ডাক যাদবপুর থানার।
এই প্রসঙ্গে চক্রবর্তী বলেছেন, সৃজন ভিডিও ধরে ব্যাখ্যা দিয়েছে বলে ডেকে পাঠালো পুলিশ। অথচ যার গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করল তাকে ডেকে পাঠালো না এই পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১ মার্চ যাদবপুরে ছাত্র বিক্ষোভের সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ছাত্রদের ওপর দিয়ে চলে যায়। একাধিক ছাত্র আহত জন ঘটনায়।  

Comments :0

Login to leave a comment