মহিলাদের সঙ্গে অসভ্যতার একগুচ্ছ অভিযোগ ছিলই। স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে মুখ খুলতে সাহস পাননি এলাকাবাসী। এবার মহিলারাই প্রতিরোধে নামলেন রানাঘাটের হরিজন পল্লী এলাকায়। গুলি ছুঁড়েও সাহস দমাতে পারেনি দুষ্কৃতী। তার জেরে অভিযুক্ত সমর প্রামাণিক এখন হাসপাতালে।
সোমবার, রানাঘাট শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন পল্লী সংলগ্ন বিডিএস বয়েজ ক্লাবের কাছে প্রতিরোধে নামেন মহিলারা। অভিযোগ, তালপুকুরপাড়ার দুষ্কৃতী সমর প্রামাণিক দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, সাট্টা জুয়ার ঠেক চালানোর অভিযোগও রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় এলাকার মহিলাদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে বহুবার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হরিজন পল্লীর বস্তিতে মহিলাদের উত্ত্যক্ত করত এই সমর। রথতলা বাজার সংলগ্ন এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এলাকাবাসী তাকে কিছু বলতে সাহস পেতেন না। সোমবার সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন মহিলাদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে সমর। একটি বেআইনি পিস্তল থেকে দু’রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে। একটি বাড়ির কার্নিশও ফুটো হয়ে যায়। এর পরেই বাধ্য হয়ে এলাকার অত্যাচারিত মা-বোনেরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধে নামেন। সমরকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। রানাঘাট হাসপাতাল থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি ফাঁকা কার্তুজ, গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।
এলাকায় পুলিশের আইসি গেলে মহিলারা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। উগরে দেন ক্ষোভ। পুলিশ এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার দিন রাতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখালেও পরেরদিন, মঙ্গলবার, ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে দেখা যায়। কেউ মুখ খুলতে চাননি। অনেকেই বলছে শুধু সন্দেশখালি নয় গ্রাম বাংলার প্রতিটা কোণে কোণে এইরকম সন্দেশখালি হয়ে রয়েছে। জনতাকে, বিশেষ করে মহিলাদের, প্রতিরোধে নামতে হচ্ছে।
অভিযুক্ত সমর প্রামাণিক এখন হাসপাতালে ভর্তি। সুস্থ হয়ে উঠলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখতে চাইছেন এলাকাবাসী।
Comments :0