YECHURY RAMMANDIR ECONOMY

জীবনজীবিকা শোচনীয়, রাজনীতির ফয়দা তুলতে রামমন্দিরে মোদী: ইয়েচুরি

জাতীয়

ছবি সংগ্রহ থেকে।

প্রাণবন্ত অর্থনীতির দাবি করছে বিজেপি। ভুয়ো দাবি করছে বিজেপি। বাস্তবে বেকারির হার সর্বোচ্চ। আয় কম জনতার, ফলে চাহিদাও কম, বিকাশ হচ্ছে না শিল্পের। বিনিয়োগ হচ্ছে না।

শুক্রবার কান্নুরে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবিকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, গত দশ বছর জনতার পক্ষে জীবনজীবিকার সবচেয়ে শোচনীয় সময়। 

প্রধানমন্ত্রীর রাম মন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগের গুরুতর অপব্যবহার করা হচ্ছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘সংবিধানে স্পষ্ট বলা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে রাজনীতি এবং রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখতে হবে।’’ তিনি মনে করিয়েছেন যে ধর্মবিশ্বাস প্রত্যেকের ব্যক্তিগত। প্রত্যেকের ধর্মবিশ্বাসকেই সম্মান করে সিপিআই(এম)। 

রামমন্দির উদ্বোধন হওয়ার কথা ২২ জানুয়ারি। এক মাস আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চলছে। লোকসভা নির্বাচনের আর কয়েকমাস বাকি। প্রায় ৬ হাজার জনকে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হচ্ছে। কেবল সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট নয়, উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারও আমন্ত্রণ পত্র পাঠাচ্ছে। এর বাইরে কাউকে ওদিন রামমন্দির চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ধর্মকে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য খোলাখুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। সংবিধানের মূল মর্মবস্তুর বিরোধী এই ভূমিকা।’’ 

ইয়েচুরির ব্যাখ্যা, ‘‘সাংবিধানিক পদে আসীন প্রধানমন্ত্রী বা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরাই মন্দির উদ্বোধনে নেমে পড়েছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে সুবিধা পেতে চাইছেন। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে দৃঢ় অবস্থানই এই রাজনীতিকে রুখতে পারে।’’ 

ইয়েচুরি স্পষ্ট করেই বলেছেন যে নরম হিন্দুত্বের মনোভাব থেকে এই বিপদ ঠেকানো যায় না। জনতার উন্নয়নে যে মোদী সরকারের বিশেষ কিছু বলা থাকছে না, সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ‘‘সব তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। মজুরি দেওয়া না হলেও তাঁকে শ্রমিক বলা হচ্ছে।’’

ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘সরকারের নিজেরই অনুমান চলতি অর্থবর্ষে বিনিয়োগ ৭০ শতাংশের বেশি কমবে। সরকারি এব বেসরকারি- দু’ক্ষেত্রেই কমবে বিনিয়োগ। মাথা পিছু আয়ে ভারত আসলে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪২ তম। জি-২০ দেশগুলির মধ্যে মাথাপিছু আয় ভারতে সবচেয়ে কম। মানবোন্নয়ন সূচকে আমরা সবচেয়ে পিছিয়ে।’’

কেরালার কান্নুরে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন ইয়েচুরি।

Comments :0

Login to leave a comment