চন্দননগর প্রবর্তক হোম বন্ধের নির্দেশ দিল জেলা ম্যাস এডুকেশন দপ্তর। বৃহস্পতিবার অশান্তির পর শুক্রবার চন্দননগরের হোম থেকে আবাসিকদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। অশান্তি পাকানোর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চন্দননগর প্রবর্তক সেবা নিকেতন হোমে অভিভাবকদের মিটিং-এ চরম অশান্তি হয় বৃহস্পতিবার। হোমের সভাপতি পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে হোমের অপর ভবনের এক আবাসিকের সঙ্গে যৌন নির্যাতনের। সেই আবাসিকের সঙ্গে কথা বলে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর ও শিশু সুরক্ষা কমিটি সভাপতির বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ হওয়ার পর থেকে সভাপতি পরিমল পলাতক হোমে আসেননি। আবাসিক ছাত্রীরা বিশৃঙ্খল হয়ে পরে। পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। গতকাল অভিভাবকদের মিটিং ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মেয়েদের বাড়ি নিয়ে যেতে। রাজি হয়না অভিভাবকরা। তাদের দাবি ছিল সভাপতিকে ফেরাতে হবে ছাত্রীরা হোমেই থাকবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আধিকারীক যারা হোমে গিয়েছিলেন তাদের আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ তাদের উদ্ধারে গেলে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। আধিকারীকদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয় পুলিশ। পাল্টা পুলিশের লাঠিতে আহত হয় আবাসিকরা। রাতভর হোমেই অবস্থান করেন অভিভাবকরা। পুলিশ পিকেট থাকে। এদিন সকাল থেকে অনেক অভিভাবক মেয়েদের নিয়ে বাড়ি রওনা দেন।
এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের জন্য অভিভাবকরা চন্দননগর থানার সামনে জরো হন। হোমের এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার পিয়ালী পাল বলেন, ‘‘পরিমল বাবুর বিরুদ্ধে আগেও এরকম অভিযোগ উঠেছিল কিন্তু সেটা প্রমাণ হয়নি। উনি যেখানেই থাকুন নিশ্চয়ই আবার আসবেন।’’
পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী আদ্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৮ দিন ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই সে কোথায় আছে জানি না। আমার বাড়িতে যেমন মেয়ে আছে হোমের দুশোটা বাচ্চাও তার মেয়ে। কাকুকে দেখতে পাচ্ছে না বলে হয়তো তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তবে আমি বলব গতকাল যে অশান্তি হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। আমার বিশ্বাস সত্যের জয় হবে। জেলা ম্যাস এডুকেশন দপ্তর থেকে চন্দননগরের প্রবর্তক সেবা কেন্দ্র কে আপাতত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments :0