আলু চাষীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এখন শুধুই আতঙ্ক বিরাজ করছে। আউস গ্রাম, মঙ্গলকোট, কেতু গ্রাম সহ অজয় নদীর দুই ধার বরাবর কয়েকশত গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে শুধুই হতাশা আর অব্যক্ত যন্ত্রণর ছবি। চাষ করে আর কি হবে? চাষের আর সুখ নাই। ১০-১৫ বছর আগেও চাষ করার কি আনন্দ ছিল আর এখন চাষ করতেই ভয় লাগে।- খুবই বিরক্তির সাথে জানালেন অজয় নদীর ধারে সাতলা গ্রামের জনৈক কৃষক।
তিনি আরো জানালেন- আলু বসাবার আগে সার, ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি হয়। সরকার, বিডিও অফিস, এডিও অফিসার, পঞ্চায়েত কারো কোন হেলদোল থাকে না। আবার এত কষ্টের ফসল, সেই ফসল মাঠে পচবে, ঘরেও রাখা যাবে না। কোন হিমঘর, স্টোরেতেও জায়াগা পাওয়া যাবে না। সেখানে ব্যবসাদার, ফড়ে, মজুতদার, শাসকদলের নেতারা বেনামে স্টোর ভর্তি করে দেবে। আমাদের মত প্রান্তিক, ছোট চাষীদের কথা খেয়াল কারো নাই। যখন ভোট আসবে তখন আমাদের কথা সবারই মনে পড়বে। তাঁর বক্তব্য বাজারে এখন খুচরো আলু বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা, ৬ টাকায়। ব্যাপারীরা মাঠ থেকে কিনতে চাইছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্যাকেট। দাম না উঠলে প্রচুর লোকসান। আমাদের গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই। দেনা করে সার কিনেছি, আলুর বীজ কিনেছি , শোধ দেওয়া যাবে কি করে?- এই ভাবনায় রাতে ঘুম নাই চোখে।
Comments :0