কুয়াশা-মোড়া দিল্লিতে বুধবারও শতাধিক বিমান উড়ল দেরিতে। কিছু আবার বাতিল হয়ে গিয়েছে। দিল্লিগামী ১৪টি ট্রেন দেরিতে চলেছে। তবে এদিন ঠান্ডার কামড় থেকে সামান্য রেহাই পেয়েছেন রাজধানীবাসী। উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশেই শীতের দাপট সামান্য কমেছে। মৌসম ভবন অবশ্য জানাচ্ছে, ঠান্ডার প্রকোপ থেকে এই মুক্তি সামান্য ক’দিনেরই। জানুয়ারি মাস থেকে ফের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আসতে চলেছে।
সফদরজঙ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ছিল ৫.৬ ডিগ্রি। ওইদিন পাহাড় ঘেরা শহর নৈনিতালকেও হারিয়ে দেয় দিল্লি। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থানের এক বিস্তীর্ণ অংশে তাপমাত্রার পারদ তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেড়েছে এদিন। ফলে ঠান্ডা একটু কমেছে। কিন্তু ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশায় এদিনও সূর্যের দেখা মেলেনি। দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর কুয়াশায় ঢেকে ছিল। পাঠানকোট, জম্মু এবং অমৃতসরের বিমানবন্দরে কুয়াশা ছিল আরও বেশি।
জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে মঙ্গলবার রাতে তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার আগের দিন ছিল মাইনাস ৬.৭ ডিগ্রি। শ্রীনগরে মঙ্গলবার রাতের থেকে তাপমাত্রা আরও কমেছে। পহেলগাম এবং তার সংলগ্ন অংশে এদিন তুষারপাত হয়েছে। উপত্যকার বেশ কিছু অংশে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত প্রবল তুষারপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ‘চিল্লাই কালানে’ ডাল লেক সহ অন্যান্য জলাধারের জলও জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। ফলে জলের সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে কাশ্মীরে।
Comments :0