সুপ্রিম কোর্টের রায় অসন্তোষজনক। ‘সেবি‘ তদন্ত করেনি বলেই সুপ্রিম কোর্টের নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জমা পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে তদন্তের ভার ‘সেবি’-র হাতেই রাখল।
বুধবার আদানির শেয়ারকাণ্ডের তদন্ত ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে এই মত জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অসন্তোষজনক আখ্যা দিয়েছে।
পলিট ব্যুরো মনে করিয়েছে যে ২০১৪ থেকে আদানি গোষ্ঠীর বেনিয়মের বিরুদ্ধে সেবি-র ভূমিকা ঘিরে অভিযোগ উঠছে। ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স আদানি গোষ্ঠীকে দায়ী করে ‘সেবি’-র প্রসঙ্গ টানে। সংসদে বলা হয়েছিল যে সেবি আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় তদন্ত অস্বীকার করেছে সেবি। আদালত সেবি-র কথাকেই ভরসা করল। কেন অভিযোগের তদন্ত শেয়ার বাজারের নিয়ামক প্রতিষ্ঠানটি করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল না।
ইয়েচুরি বলেছেন, ২৪টি অভিযোগের ২২টি’র রিপোর্ট সেবি দিয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকি আরও ২টি’র রিপোর্ট দিতে ৩ মাস সময় দিয়েছে। কিন্তু বেনিয়ম কিভাবে হলো, কে দায়ী, বিনিয়োগকারীরা টাকা খোয়ালেন কেন, কোনও প্রশ্নের জবাব সুপ্রিম কোর্টের বিচার প্রক্রিয়ায় মেলেনি।
উল্লেখ্য, সেবি-র বদলে তদন্তে আদালতের নজরদারিতে সিট গড়ে তদন্তের আর্জি জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদন বুধবার খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কিন্তু সেবি নিজেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি বিধিতে বদল করেছে। সুপ্রিম কোর্টের গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াগ্রহণ সেবি-র কাজ। কিন্তু সেই কাজ ঘিরেই সংশয় উঠছে বিধি বদলে। এই প্রসঙ্গ মনে করিয়েছে পলিট ব্যুরো।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছিল আদানির শেয়ারের দাম ফাঁপানো। সুপ্রিম কোর্ট এদিন নির্দেশ দিয়েছে সেই তদন্ত বেআইনি ছিল কিনা দেখতে। পলিট ব্যুরোর বক্তব্য, বার্তাবাহককে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হলো। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল এবন সব সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কেন্দ্রের সরকারকে।
Comments :0