TEESTA DANGER LEVEL

ফুঁসছে তিস্তা, চাষ বরবাদ বহু এলাকায়

জেলা

তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছে খেত।

দীপশুভ্র সান্যাল: জলপাইগুড়ি 
উত্তর সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা নদী। বিপদসীমার উপরে বইছে  তিস্তা নদীর জল। জলপাইগুড়ি ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকে যায়।
তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গোটা চর এলাকা জলে ভেসে যায়। বহু কৃষকের বাদাম ভেসে চলে যায়, বহু জায়গায় লঙ্কা খেত জলে ডুবে যায়। পূর্ব মৌয়ামারি ও দক্ষিণ চেংমারী গ্রামের প্রচুর কৃষক এখানে চাষবাস করেন। কিন্তু হঠাৎ করে তিস্তার জল চলে আসায় আতঙ্কিত বহু কৃষক তড়িঘড়ি ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যান। 
সারারাত বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি জেলার মাল মহকুমার বাগড়াকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তাপাড় সংলগ্ন টোটগাঁও গ্রামে বুধবার তিস্তার জল ঢোকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। উত্তর সিকিমে বৃষ্টির কারণে তিস্তার জল বাড়তে পারে। সেজন্য বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
তিস্তা নদীর জল টোটগাঁও গ্রামে ঢুকতে শুরু করায় পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে গ্রামবাসীদের। কারণ এর আগেও তিস্তার বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল এই এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

বুধবার সারাদিন ধরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। তার মধ্যে এক দফাতেই সর্বোচ্চ ১৮০০ কিউমেক জল ছাড়া হয়।

জলপাইগুড়ি বালাপাড়ার তিস্তা পারের বাসিন্দা সুমিত্রা বিশ্বাস জানান মঙ্গলবার রাত থেকে জল বাড়ছে তিস্তার, পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সকালে পর থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়ছে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে যার ফলে অনেকটাই জল বেড়েছে তিস্তার।
রেমাল ঝড়ের পর উত্তর পূর্ব ভারত জুড়ে সৃষ্ট গভীর নিম্ন চাপের কারণে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমে চলেছে ভারী বৃষ্টিপাত। পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই তিস্তা নদী সহ অন্যান্য নদী গুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে জলস্তর।
বৃহস্পতিবার সেই কারণেই জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবা সংলগ্ন টোটগাওয়ে তিস্তার বুকে একটি হাতিকে অসহায় অবস্থায় দেখতে পাওয়া কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে বন বিভাগ তিস্তা নদীর বুকে আটকে পরা গজরাজ এর গতিবিধির ওপর নজর রাখছে।
জলপাইগুড়ি জেলার জলপাইগুড়ি সদর, ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, গয়েরকাটা, বানারহাট সহ মাল বাজারে মঙ্গলবার থেকেই  মেঘলা আকাশ ছিল। বুধবার রাতে প্রবল দমকা হাওয়ার সঙ্গে নামে প্রবল বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার দিনভর কখনো ঝিরি ঝিরি কখনো হালকা বা ভারী বৃষ্টিপাত হয় জেলাজুড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া থাকায় গরম অনেকটাই কম অনুভূত হয় জেলাজুড়ে।

Comments :0

Login to leave a comment