অনিল কুন্ডু
মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেকে বাড়ি ফেরালো হ্যাম রেডিও। বকখালির সমুদ্র সৈকতে আপন মনে ঘুরে বেড়াতেন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা বিকাশ কুমার (২৭)। ১৭ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শনিবার হ্যাম রেডিওর তৎপরতায় ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
বকখালির সমুদ্র সৈকতের ধারে বেশ কিছুদিন ধরে ঘোরাফেরা করতেন বিকাশ কুমার। সৈকতের ধারে দোকানদার ব্যবসায়ীরা তাঁকে মাঝে মাঝে খাবার দিতেন। কখনো কখনো সমুদ্র সৈকতের ধার থেকে গ্রামের মধ্যেও ঘোরাফেরা করতেন। এক পর্যটকের নজরে পড়েন তিনি। খবর দেওয়া হয় হ্যাম রেডিওকে। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরে হ্যাম রেডিও নিজস্ব নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে বিহারের ভাগলপুর জেলার সানহুলা থানার অন্তর্গত মহেশপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি খুঁজে বের করে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তাঁর ভাই সুনীল কুমার নিখোঁজ দাদার সন্ধান পাওয়ায় ফ্রেজারগঞ্জে আসেন। শনিবার সকালে কোস্টাল থানার আধিকারিকরা বিকাশ কুমারকে তাঁর ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।
সুনীল কুমার এদিন জানান, প্রায় ১৭ মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিকাশ কুমার। মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। হঠাৎই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন। তারপর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। মাঝে একবার উত্তরপ্রদেশে তাঁর খোঁজ পেয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছনোর পর আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিভাবে ফ্রেজারগঞ্জে বিকাশ কুমার আসলেন সে ব্যাপারেও সে কিছুই বলতে পারেনি। তবে ১৭ মাস নিখোঁজ থাকার পর দাদাকে ফিরে পাওয়ায় এদিন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ আধিকারিক ও হ্যাম রেডিওকে ধন্যাবাদ জানিয়েছেন সুনীল কুমার।
কোস্টাল থানার এক আধিকারিক জানান, হ্যাম রেডিও বিকাশ কুমারের পরিবারের সন্ধান পাওয়ার পর সমুদ্র সৈকতের ধারে তাঁকে আর দেখা যাচ্ছিল না। সিভেল ডিফেন্সের কর্মীরা তাঁকে খুঁজে বের করে থানায় নিয়ে আসে। তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরাও স্বস্তি পেলাম। হ্যাম রেডিও’র দৌলতে বাড়ি ফিরতে পারলেন নিখোঁজ বিকাশ কুমার।
Comments :0