এদিন বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফড়নবিশ বলেছেন যে, অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মতো মহারাষ্ট্রও ‘লাভ জিহাদ’ আইন আনতে চলেছে। অন্য রাজ্যগুলির আইন খতিয়ে দেখে মহারাষ্ট্র সরকার আইনটি তৈরি করবে। তাঁর দাবি বিধানসভার অভ্যন্তরে কঠোর লাভ জিহাদ আইন আনার দাবি উঠেছে।
‘লাভ জিহাদ’ শব্দবন্ধের কোনও আইনি ভিত্তি না থাকলেও বিজেপি এবং আরএসএস এই প্রচারেই ধর্মীয় মেরুকরণ করতে অভ্যস্ত। দুই ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক বা বিয়ে হলেই চালু হয়ে যায় বিদ্বেষের প্রচার। বলা হয়, মুসলিম যুবকরা ‘জিহাদ’ করে হিন্দু মেয়েদের ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরে ধর্ম বদলানো হচ্ছে। সংবিধানে যদিও দুই প্রাপ্তবয়স্কের নিজের পছন্দে বিয়ের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।
ফড়নবিশ এদিন সেই যুক্তিতেই বলেছেন, ভিন্ন ধর্মের বিয়ে বা প্রেম এক ধরনের চক্রান্ত। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ধর্মের বিয়ে হচ্ছে। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের নৃশংস খুনের ঘটনাটিকে নতুন দফায় মহারাষ্ট্রে সামনে আনছে বিজেপি। দলের বিধায়ক অতুল ভাটখালকার এবং আশিষ শেলার বিধানসভায় শ্রদ্ধা ওয়ালকারের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে লাভ জিহাদের পক্ষ আইনের দাবি করেন।
শ্রদ্ধার সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালাকে জঘন্য খুনী হিসেবেই দেখছেন ধর্ম, ভাষা নির্বিশেষে দেশের মানুষ। ‘লাভ জিহাদ’ বন্ধ করার লক্ষ্যে এর আগে উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আইন পাশ হয়েছে।
Comments :0