ইন্ডিয়ার বৈঠকে হাজির থাকলেও বিভিন্ন সময় তিনি এই রাজনৈতিক মঞ্চের অভ্যন্তরে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। দিল্লির বৈঠকে হঠাৎ করেই তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করে বসেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে। সেই বৈঠকে কে প্রধানমন্ত্রীত্বের মুখ হবে তা নিয়ে কোন আলোচনা হওয়ার কথাই ছিল না।
গত ২৩ ডিসেম্বর দেগঙ্গায় দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘গোটা দেশে বিজেপির মোকাবিলা করবে ইন্ডিয়া, আর রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে তৃণমূল।’’
এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তার অভিযোগ বাংলায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় ন্যায় যাত্রায় তৃণমূলকে কোন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই আমার। বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।’’ উল্লেখ্য সাগরদিঘি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা একাই লড়বে। কোন জোটে অংশ নেবে না তৃণমূল।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সৌম আইচ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মাননীয়া মমতা ব্যানার্জীর দলের কাছে এটা স্বাভাবিক। ওঝা দেখলে ভূতেদের ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। ভারত ন্যায় যাত্রার সাফল্য দেখে বিজেপি তৃনমূল ভয় পেয়েছে। দিল্লির দাদা বকাঝকা দিয়েছেন। আমরা বহুদিন ধরেই বলেছি উনি বিজেপি বিরোধীতা করতে কোনো দিন পারবেন না। যাই হোক আমরা খুশি ওনাদের মুখোশ এখন প্রতিদিন খুলে পড়বে।’’
আসন সমঝোতা নিয়ে সিপিআই(এম) – এর পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করে আসা হয়েছে রাজ্য ভিত্তিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আসন সমঝোতা হবে। সেটাই মান্যতা পেয়েছে ইন্ডিয়ার বৈঠকে।
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী নেতৃবৃন্দ বারে বারেই বলেছেন যে, তৃণমূল ইন্ডিয়া মঞ্চের সমঝোতাকে দুর্বল করার চেষ্টা করবে। বিজেপিকে দুর্বল করা আসল লক্ষ নয়, আসল লক্ষ হচ্ছে নিজের পক্ষে আসন সমঝোতা নিশ্চিত করা।
Comments :0