আদালতে তোলার আগে হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করতে নিয়ে আসা এক যুবতীকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। সিনেমার দৃশ্যের মতো এমন ঘটনা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এদিন দুপুরে ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। জানা গিয়েছে, চারটি ছোট গাড়ি করে একদল দুষ্কৃতী তপন থানার পুলিশের গাড়ি থেকে ওই যুবতীকে ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ বাঁধা দিলে, পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর করে ওই যুবতীকে ছিনিয়ে নিয়ে দুস্ক্রিতীরা দ্রুত পালিয়ে যায় চারটি বোলেরো গাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার আইসি শান্তি নাথ পাঁজা, ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমস্ত থানার মাধ্যমে জেলা জুড়ে নাকাবন্দি করা হয়েছে, দুষ্কৃতীদের ধরবার লক্ষ্যে। যদিও বিকেল পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের পাওয়া যায় নি।
জানা যায়, মাস দেড়েক আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি ১৯ বছরের যুবতী ভিন্ন ধর্মের যুবকের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়েকরে। এই ব্যাপারে যুবতীর পরিবার তপন থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ইতিমধ্যে ওই যুবতী থানায় আত্মসমর্পন করে। তপন থানার পুলিশ ওই যুবতীকে এদিন বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলার আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপ করাতে নিয়ে যায়। মেডিক্যাল  পরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে বেরোতেই একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে মারধর করে ওই যুবতীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যরাই তাদের মেয়েকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। গোটা জেলার নাকা পোস্ট সহ জেলার বর্ডার সংযোগ চেকপোস্ট গুলিতেও সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় হতবাক পুলিশ প্রশাসন।