বসিরহাটে ইটভাটার চিমনি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের, আহত অন্তত ১৫ জন শ্রমিক। বসিরহাটের ইটিণ্ডা ঘাটের কৃষ্ণা ইটভাটায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে।
বসিরহাট থানার ধলতিথা গ্রামে অবস্থিত এই ইটভাটায় এদিন রাতে চিমনির নিচে অগ্নিসংযোগ (ফায়ারিং) করার জন্য দক্ষ কারিগর সহ শ্রমিকরা হাজির ছিলেন। চিমনিতে আগুন লাগাতেই হঠাৎ ভেঙে পড়ে ইটভাটার চিমনি। সেই চিমনি চাপা পড়ে অন্ততপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক গুরুতর জখম হন। তাঁদেরকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে শ্রমিক হাফিজুল মণ্ডল (৩৫) এবং অসিত ঘোষ (৪৩)-কে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অসিত ঘোষের বাড়ি বসিরহাটের সোলাদানায়। তৃণমূল নেতা সঞ্জয় মণ্ডল এই ইটভাটার মালিক। সে দুষ্কৃতী হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত অসিত ঘোষ অন্য একটি ইটভাটার মালিক। তিনিও ওই ফায়ারিং দেখতে গিয়েছিলেন। বাকি আরও একজন শ্রমিক চিমনির তলায় চাপা পড়ে মারা যান। তিনি উত্তর প্রদেশ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে।
জেসিবি দিয়ে চিমনির ভগ্নস্তূপ সরিয়ে আহত এবং নিহতদের উদ্ধার করা হয়। রাত পর্যন্ত ভাঙা চিমনি সরিয়ে উদ্ধারের কাজ চলছে। এখনো কেউ চিমনির তলায় চাপা পড়ে আছে কিনা তার খোঁজ চলছে। আরও বেশ কয়েকজন তলায় আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাকি শ্রমিকরা। আহতদের বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বসিরহাটের স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে ১৫ জনকে ভর্তি করলে তার মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কজনক হয়ে পড়ায় কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে বসিরহাট থানার পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা রয়েছেন। জানা গিয়েছে শ্রমিকরা কয়লা দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পুলিশ, দমকল কর্মীদের পাশাপাশি শ্রমিক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। অন্ধকার থাকায় উদ্ধারের কাজে কিছুটা হলেও অসুবিধা হচ্ছে।
Comments :0