জাল স্যালাইনে মৃত্যুর অভিযোগ ছিল। প্রসবের পর মৃত মহিলার দেহ দিতেও টালবাহানা চালালো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় যুদ্ধ করে দেহ নিতে হলো পরিবারকে। পরিবারের পাশে থাকলেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
গোটা ঘটনায় তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি’র ভূমিকাতেও ক্ষোভ তীব্র।
প্রায় ২২ দিন লড়াই করার পর গত ২৪ জানুয়ারি এই হাসপাতালেই মারা যান জলপাইগুড়ির বাসিন্দা সান্ত্বনা রায় মাতব্বর। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে রেফার করা হয়েছিল। এই প্রসূতিকে স্যালাইন এবং ইনজেকশন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তার স্বামী উত্তম রায় মাতব্বর।
কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও মৃত্যুর পর দু’দিন দেহ আটকে রাখা ছিল। সিপিআইএম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র জানিয়েছেন যে রবিবারও দেহ দিতে টালবাহানা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বলা হয় যে পরিবার ভিডিও ক্যামেরায় ময়নাতদন্ত করার কথা বলছে, ফলে তার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত দেহ দেওয়া যাবে না। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মনে করানো হয় যে পরিবার গোড়া থেকেই এই দাবি করছে কিন্তু তা করা হয়নি টানা দুদিন হলে দেহ আর আটকে রাখা অনুচিত। শেষ পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ দেহ দিতে রাজি হয়। রবিবার বিকেলে দেহ নিয়ে জলপাইগুড়ির পথে রওনা হয়েছে পরিবার।
শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এদিন যান সিপিআইএম দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠকও।
পীযূষ মিশ্র ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন তৃণমূল সরকারের অপদার্থতা একজন মায়ের প্রাণ কেড়ে নিল। সেই সঙ্গে পরিষ্কার হয়েছে বিজেপি’র ভূমিকাও। গোটা সংকটে বিজেপি উধাও হয়ে গিয়েছিল কেন। ডায়ালিসিস করার যন্ত্র মেলেনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। তা নিয়ে কথা বলেন না কেন বিজেপি’র নির্বাচিত সাংসদ বা বিধায়করা।
Saline Death Jalpaiguri
জাল স্যালাইনে মৃত্যুর অভিযোগ, প্রসূতির দেহ পেয়েও নাজেহাল পরিবার
×
Comments :0