HARYANA ASHA WORKERS

মাস পেরিয়ে ধর্মঘটে হরিয়ানার আশাকর্মীরা

জাতীয়

এক মাস ধর্মঘটে আশাকর্মীরা। তবু হরিয়ানার বিজেপি সরকার আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এবার জেল ভরো আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছে সিআইটিইউ’র নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলন।

মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সরকারের উদাসীনতায় ক্ষোভ জানিয়েছে সিপিআই(এম)। প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেসও। হরিয়ানার রাস্তায় নেমে আন্দোলন জারি রেখেছেন আশাকর্মীরা। 

২৭ সেপ্টেম্বর জেল ভরো কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন প্রায় ২০ হাজার আশাকর্মী। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে সিআইটিইউ। তার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দরজিত সিং’র কাছে দাবি জানানো হবে।

স্বাস্থ্য পরিষেবা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘আশা’ প্রকল্পের কর্মীদের ওপর। তাঁদের দাবি, কঠিন মূল্যবৃদ্ধির সময়ে বাড়াতে হবে ভাতা। তাঁদের নিয়মিত কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে। পদোন্নতি বলে কিছু নেই, তা চালু করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে আশাকর্মীদের। 

হরিয়ানায় আশা কর্মী আন্দোলনের নেত্রী সুরেখা জানাচ্ছেন, অন্তত ৪০টি কাজ করতে বাধ্য থাকেন আশাকর্মীরা। এর ওপর নতুন নতুন দায়িত্ব চাপানো হচ্ছে। তা’হলে বাড়তি ভাতা দেওয়া হবে না কেন। 

আশাকর্মীরা বলছেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে প্রচার করছে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার। মাটিতে নেমে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদেরই। উপভোক্তার পরিচয় পত্র ভরাতে হচ্ছে। ছোঁয়াচে নয় এমন রোগের সমীক্ষা করতে হচ্ছে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত কারা, তারও সমীক্ষার দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ মাদকের নেশা কাদের মধ্যে, কোন এলাকায় বেশি, তার সমীক্ষাও করতে হচ্ছে আশাকর্মীদের। পুরোটাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ। রোদ ঝড় জল থাকলেও কাজ। অথচ ন্যূনতম স্বীকৃতি নেই। 

হরিয়ানার মতো অনেক রাজ্যেই অবস্থা এক। বাড়তি কাজের জন্য বাড়তি অর্থ নেই। ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না। হরিয়ানয় পাঁচ বছরে বাড়েনি ভাতা। সরকারি খাতায় নিছকই ‘স্বেচ্ছাসেবক’ বলে দেখানো হয় এই কর্মীদের। 

সুরেখা জানাচ্ছেন, ২৪ থেকে ২৮ আগস্ট হরিয়ানা বিধানসভার অধিবেশন ছিল। আশাকর্মী ইউনিয়ন মিছিল করে বিধানসভা অভিমুখে। আলোচনা তো দূর। পুলিশ দিয়ে প্রতিবাদ ভাঙার চেষ্টা হয়। পুরুষ পুলিশরা মহিলা আশাকর্মীদের ধাক্কা দিতে থাকে। তবে তাতে আন্দোলন ভাঙেনি। বরং আরও জোরালো হয়েছে।

 

Comments :0

Login to leave a comment