Sheikh Shahjahan

টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে, বিক্ষোভ মাছ ব্যবসায়ীদের

রাজ্য

ছবি: বিক্ষোভ মাছ ব্যবসায়ীদের।

সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এবার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। শেখ শাহাজাহান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাগদা মাছের এজেন্টন্দের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা অবিলম্বে ফেরতের দাবি তুলে মাছের কোম্পানির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এজেন্টরা। কলকাতা বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়ার ঘোষপুরের কাছে একটি বাগদা মাছের কোম্পানিতে মাছ সরবরাহ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার বাগদা মাছের এজেন্টরা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি এই মাছের কোম্পানিতে এজেন্ট হিসাবে মাছ সরবরাহ করতো সন্দেশখালির ত্রাস তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শেখ শাহাজাহান। গত ২০১৮ সালে আগস্ট মাস নাগাদ ওই কোম্পানি মাছের এজেন্টদের প্রায় দশ কোটি টাকা আটকে রাখে। সেই টাকা দিতে না পারায় ওই মাছের কোম্পানিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলো সন্দেশখালীর এই তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান। তারপর সমস্ত এজেন্টদের নিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তারা বসে সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিতে মজুত করে রাখা সমস্ত বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিক্রি করে এজেন্টদের টাকা দেওয়া হবে। সেইমতো ওই কোম্পানিতে থাকা সমস্ত মাছ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কার্যত জোরপূর্বক কোম্পানির দখলে নিয়ে নেয় শেখ শাহাজাহান। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি মাছ অন্য কোম্পানিতে বিক্রি করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টদের টাকা দিয়ে দেবেন। কিন্তু তিনি মাছ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দিয়েছেন এমনটাই দাবি এজেন্টদের। সেই টাকা মাঝেমধ্যে শেখ শাহাজাহানের কাছে চাইতে গেলে এজেন্টদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা কখনো তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিতো বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশের। সেই টাকা ফেরতের দাবিতে রবিবার ঘোষপুরের ওই মাছের কোম্পানির সামনে ফেস্টুন প্লাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিভিন্ন জেলার মাছের এজেন্টরা। প্রায় আধঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পর বিক্ষোভকারীরা, বিক্ষোভ তুলে নেয়। হামিদ মোল্লা, ইন্নাত মোল্লাদের মত এজেন্টরা বলেন,‘‘মাছের কোম্পানি আমাদের কয়েক কোটি টাকা দিতে পারেনি সেই সময় শেখ শাহজাহান দায়িত্ব নিয়ে কোম্পানিতে মজুদ করে রাখা সমস্ত মাছ অন্য কোম্পানিতে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু তিনি আমাদের টাকা দেননি। অনেকবার আমরা টাকা চাইতে গিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা চাইতে গেলেই আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত আমাদের নানা রকম ভাবে হুমকি দিত। ভয়ে আমরা আর টাকা চাইতে পারিনি।  আমাদের এলাকায় যে সমস্ত চাষীদের কাছ থেকে মাছ কিনেছিলাম তাদেরকে আমার টাকা দিতে পারিনি। সেই সমস্ত পাওনাদারের ভয়ে আমরা এখন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছি’’। তাদের দাবি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা আরো ভালো করে তদন্ত করে দেখুন এলাকার অনেক মানুষদের এরকমভাবে ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে রেখেছে শাহাজাহান। শেখ শাহজাহান শুধু বড় বড় ব্যবসায়ী নয় এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদেরও ভয় দেখিয়ে জোর করে জমি লিখে নিয়েছে। এলাকার মৎস্য চাষীদের ওর আড়তে মাছ দিতে বাধ্য করা হতো। এই প্রসঙ্গে সন্দেশখালি বিধানসভার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এই বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না’’।
 

Comments :0

Login to leave a comment